আত্মবিশ্বাস নিয়ে বিশ্বকাপে যাবে বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক: কথায় আছে-‘শেষ ভালো যার, সব ভালো তার’-ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ান স্বাগতিকরা। গতকাল সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে আইরিশদের ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে লিটন দাসের দল। যা সফরকারীদের বিপক্ষে টাইগারদের চতুর্থ টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়। যদিও আইরিশদের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত কোনো টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এমন জয় বাংলাদেশকে আত্মবিশ্বাস জোগাবে বলে মনে করছেন টাইগার অধিনায়ক।
গতকাল টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে টাইগার বোলারদের তোপের মুখে পড়ে আইরিশ ব্যাটাররা। গুটিয়ে যায় ১১৭ রানে। সফরকারীদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৭ রান আসে অধিনায়ক পল স্টালিংয়ের ব্যাট থেকে। আয়ারল্যান্ডের দেখা লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে হেসে-খেলে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ৩৬ বলে অপরাজিত ৫৫ রানে ইনিংস খেলে ম্যাচ-সেরা হয় তানজিদ হাসান তামিম। এছাড়াও এই ম্যাচে আইরিশদের পাঁচটি ক্যাচ তালুবন্দি করেছেন এই ওপেনার। যা এক রেকর্ডও বটে। আইসিসির পূর্ণ সদস্যের দলের মধ্যে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সর্বোচ্চ পাঁচটি ক্যাচ ধরার কীর্তি গড়েছেন এই টাইগার ওপেনার।
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি টাইগার অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। তবে অধিনায়ক হিসেবে নিজের নাম তুলেছেন রেকর্ড বুকে। প্রথম বাংলাদেশি অধিনায়ক হিসেবে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছেন লিটন। যদিও এমন জয়ের দিনে বোলারদের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন লিটন। ম্যাচ শেষে প্রেজেন্টেশনে বোলাদের নিয়ে লিটন বলেন, ‘সব বোলাররা দারুণ করেছে। পাওয়ার প্লেতে তারা (আয়ারল্যান্ড) অনেক করে ফেলেছিল। পরে মাহাদী ও রিশাদ আমাদের খেলায় ফেরাল। তারা দায়িত্ব নিয়েছে এবং দারুণ কাজ করেছে।’
প্রথম ম্যাচে দলে জায়গা না পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে সুযোগ কাজে লাগান শেখ মাহাদী। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে তিন উইকেট শিকারের পর গতকাল সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে এক উইকেট নেন এই স্পিনার। দুই ম্যাচে চার উইকেট নিয়ে হয়েছেন সিরিজ-সেরা। ম্যাচ শেষে সিরিজ সেরা হওয়ার পর নিজের সাফল্য নিয়ে মাহাদী বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আমি আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছি। সত্যি বলতে, গত দুটি ম্যাচে আমি দ্রুত বল করছিলাম কিন্তু ভালো হয়নি। এরপর, আমি খুব ভালো বোলিং করেছি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মাঝের ওভারটি গুরুত্বপূর্ণ এবং এটাই আমার ভূমিকা। আমি আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছি, এবং আশা করি, ইনশাল্লাহ, আগামীতে আরো ভালো করব। আমি প্রথম ম্যাচ খেলছিলাম না, তবে দ্বিতীয় ম্যাচে আমি খুব ভালো বোলিং করছি। আমি আমার ভ্যারিয়েশন ব্যবহার করছি এবং আমার লাইন এবং লেন্থের ওপর মনোযোগ দিচ্ছি। আমি ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে কাজ করি, এবং এই কারণেই আমি সফল। শিশিরের সঙ্গে বল করা আমার পক্ষে কঠিন কারণ আমি একজন ফিংগার স্পিনার, তবে আমি আমার সেরাটা চেষ্টা করছি। এই কারণেই আমি সফল।’




