বরিশাল-ঢাকা নৌপথে আবার পিছিয়ে পিএস মাহসুদের যাত্রা ২৮ নভেম্বর

অনলাইন ডেস্ক: বহু কাঙ্ক্ষিত বরিশাল-ঢাকা নৌপথে বিআইডব্লিউটিসির পিএস মাহসুদের যাত্রা আবারও পিছিয়েছে। গত ১৫ নভেম্বর বিশ্ব ঐতিহ্যের প্যাডেলচালিত নৌযান ‘পিএস মাহসুদ’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন এবং নৌ বিহারকালে নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাখায়াত হোসেন ‘২১ নভেম্বর থেকে পর্যটক সার্ভিস হিসেবে নৌযানটি ঢাকা-বরিশাল নৌপথে চলাচল করবে’ বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগে এ মাসের গোড়ার দিকে নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ও বিআইডব্লিউটিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ নৌযানটির পরীক্ষামূলক পরিচালনে ভ্রমণকালে ১৫ নভেম্বর থেকে পর্যটক সার্ভিসটি চালু করার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৫ নভেম্বর নৌযানটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও ২১ নভেম্বর বাণিজ্যিক পরিচালনে পিএস মাহসুদের যুক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন নৌ পবিহন উপদেষ্টাসহ সংস্থাটির দায়িত্বশীল মহল। এ লক্ষ্যে সব প্রস্তুতিও গ্রহণ করা হয়েছিল।

বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক (বাণিজ্য) আশিকুজ্জামান জানিয়েছেন ২১ নভেম্বরের পরিবর্তে ২৮ নভেম্বর থেকে পর্যটকদের নিয়ে ঢাকা-বরিশাল নৌ পথে সপ্তাহে একদিন ‘পিএস মাহসুদ’ চলাচল করবে। সংস্থার নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির অনেক যাত্রী আসনও সংরক্ষণ করেছিলেন। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির যাত্রী ভাড়া নিয়ে কিছুটা অনিশ্চতাও কাজ করছিল। অত্যাধিক ভাড়া নির্ধারণের কারণে যাত্রীদের মধ্যে কিছুটা হতাশাও ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত বিআইডিব্লিউটিএর নির্ধারিত দরের প্রায় কাছাকাছি ভাড়া নির্ধারণ হয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।

সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা জানান, ভাড়া নির্ধারণের জন্য সংস্থার প্রস্তাবনা অনুমোদন বা দিকনির্দেশনার জন্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত চাওয়া হয়েছে। সেখান থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন বা সিদ্ধান্ত পাওয়া গেলেই আমরা তা প্রকাশ করব। তবে অপর এক দায়িত্বশীল সূত্রের মতে, পর্যটক সার্ভিস প্রথম শ্রেণির কক্ষে জনপ্রতি ভাড়া ২৬০০ টাকা এবং দ্বিতীয় শ্রেণির কক্ষে জনপ্রতি ১৮০০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ভাড়ার মধ্যে যাত্রীর জন্য প্রাতরাশ অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলেও জানা গেছে। অপরদিকে ডেক শ্রেণিতে প্রাতরাসসহ ৬০০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে কি কারণে নৌযানটির পূর্ব নির্ধারিত ২১ নভেম্বরের যাত্রা বাতিল করা হলো, তা বলতে রাজি হননি কেউ।

তবে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের মতে, যাত্রীভাড়া নির্ধারণে বিলম্ব ছাড়াও বরিশাল বন্দরে বিআইডব্লিউটিসির নৌযান পরিচালনের জন্য ঘাট প্রস্তুত না হওয়ায় এ বিপত্তি সৃষ্টি হয়েছে। বরিশাল বন্দরে সংস্থাটির নিজস্ব জমির ওপরই পুরো নৌ বন্দরটি গড়ে উঠলেও সেখানে বিআইডব্লিউটিসির নৌযান ভেড়া ও ছাড়ার কোনো স্থান নেই এখন। এমনকি সংস্থাটির নৌযান পরিচালনের জন্য বিশ্ব ব্যাংকের প্রকল্পের আওতায় একটি ঘাট তৈরির প্রক্রিয়া অনেক আগে শুরু হলেও তা শেষ হয়নি। এ অবস্থায় সংস্থাটি তাদের নিজস্ব একটি পন্টুন সেখানে মোতায়েন করলেও জেটি বসানো হয়নি। সে লক্ষ্যে কাজ শুরু হলেও নিরাপদ যাত্রী অবতরণ ও আহরণ নিশ্চিত করতে আরো কয়েক দিন সময় লাগবে বলে জানা গেছে।

Related Articles

Back to top button