আওয়ামী লীগ নেতাকে ছাড়াতে থানায় হাজির জামায়াত নেতা

অনলাইন ডেস্ক: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। এদিকে তাকে ছাড়িয়ে আনার জন্য থানায় হাজির জামায়াতে ইসলামীর এক নেতা। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ফেসবুক লাইভও করা হয়, যা স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

আটক আওয়ামী লীগের নেতার নাম মো. সেলিম। তিনি উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমানে ইউনিয়ন কমিটির সদস্য।

সীতাকুণ্ড পৌরসভার বাইপাস সড়কের পাশে কাতার টাওয়ার নামে একটি বহুতল ভবনের অষ্টম তালার ছাদ ঢালাই কাজ চলছে।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ছাদ ঢালাইয়ের অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দেন। সেখানে ভোজে অংশ নেওয়ার পর কিছু রাজনৈতিক কর্মী তাকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সেলিম পালানোর চেষ্টা করলে পড়ে গিয়ে আহত হন, তবে শেষ পর্যন্ত তাকে আটক করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সেলিমকে ছাড়িয়ে আনতে জামায়াত নেতা প্রফেসর জাহাঙ্গীর আলম লোকজন নিয়ে থানায় হাজির হন। তখন অনেকে বিষয়টি ফেসবুকে লাইভ করেন। এর পর থানায় যাওয়া লোকজন সেখান থেকে বেরিয়ে যান।

ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে। একদিকে আওয়ামী লীগের নেতা আটক, অন্যদিকে জামায়াত নেতার সরাসরি হস্তক্ষেপ—সব মিলিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জামায়াত নেতা প্রফেসর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘কাতার টাওয়ারের ছাদ ঢালাইয়ের কাজে স্থানীয় রুবেল আনসারী সরঞ্জাম সরবরাহ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে সুযোগ না দেওয়ায় তিনি এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করেছেন।’

তিনি আরও দাবি করেন, আটক হওয়া সেলিমের রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে তিনি অবগত নন।

সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি মুজিবুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা সেলিমের উপস্থিতি খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে। তিনি জুলাই আন্দোলনে ছাত্রদের প্রতিহত করতে সংঘাতে জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।

তবে তাকে ছাড়ানোর জন্য কেউ থানায় আসেনি দাবি করেন ওসি বলেন, থানার ভেতরে থেকে ফেসবুক লাইভে দেওয়া তথ্যও সঠিক নয়।

Related Articles

Back to top button