গ্রিনল্যান্ড ‘বিক্রির জন্য নয়’, যুক্তরাষ্ট্রকে ফ্রান্সের হুঁশিয়ারি

অনলাইন ডেস্ক: ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ডকে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এর প্রতিক্রিয়ায় ফ্রান্স কড়া বার্তা দিয়েছে যে, গ্রিনল্যান্ড ‘বিক্রির জন্য নয়’। ডেনমার্কের এই অঞ্চলে সফর শেষে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-নোয়েল ব্যারো এই ঘোষণা দেন। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) আনাদোলু বার্তা সংস্থা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যারো লিখেছেন, ‘বিশ্বের ক্রমবর্ধমান অস্থিরতা, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ এবং আর্কটিক অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের লোভনীয় প্রচেষ্টার মুখে ফ্রান্স একটি পরিষ্কার বার্তা দিচ্ছে: গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয়। গ্রিনল্যান্ড দখলের জন্যও নয়।’
তিনি আরও জানান যে, ফ্রান্স হবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রথম দেশ, যারা ২০২৬ সালের শুরুতে গ্রিনল্যান্ডে একটি কনস্যুলেট খুলবে। পাশাপাশি, সহযোগিতা জোরদার করতে একটি পার্টনারশিপ ডায়ালগ কমিটিও গঠন করা হবে। ব্যারো বলেন, ‘গ্রিনল্যান্ড একটি ইউরোপীয় ভূখণ্ড। প্রতিবেশীদের অধীনস্ত করে কোনো জাতির গৌরব গড়ে তোলা যায় না।’
ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেন, গ্রিনল্যান্ড ও ডেনমার্ক একা নয়, ফ্রান্স এবং ইউরোপ আজ ও ভবিষ্যতেও তাদের পাশে থাকবে। ব্যারোর এই সফরের আগে গত বুধবার ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোক্কে রাসমুসেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছিলেন, কারণ অভিযোগ উঠেছে যে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন নাগরিক গ্রিনল্যান্ডে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। ডেনিশ সম্প্রচারমাধ্যম ডিআর গত সপ্তাহে জানিয়েছিল যে, অন্তত তিনজন মার্কিন নাগরিক ডেনমার্ক এবং গ্রিনল্যান্ডের মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছেন এবং এই তিনজনের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও হোয়াইট হাউসের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে।