বরিশালের মামলার প্রতিবাদে ঢাকায় গণঅধিকার পরিষদের মশাল মিছিল

অনলাইন ডেস্ক: বরিশালে গণঅধিকার পরিষদের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছে সংগঠনটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা। শুক্রবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর পুরানা পল্টনের আলরাজি কমপ্লেক্সের সামনে থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি পল্টন মোড় ও পানির ট্যাঙ্কি ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

মশাল মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, ‘বরিশালের আদালত গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্ররোচনায় মিথ্যা মামলা গ্রহণ করেছে। মামলাটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে। সেইসঙ্গে যিনি মামলা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন, সেই ম্যাজিস্ট্রেটকেও অপসারণ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টির মতো ফ্যাসিবাদের দোসরদের এখনো কেন নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না? জিএম কাদের কি শেখ হাসিনার চেয়েও শক্তিশালী? শেখ হাসিনা দিল্লি পালিয়েছে, জাপা যাবে সেই পথেই। জনগণ স্লোগান তুলেছে— ‘আপা গেছে যে পথে, জাপা যাবে সেই পথে’।’

রাশেদ খান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আজ কর্মীরা জাপা কার্যালয়ের ইট খুলে আনতে চেয়েছিল। আমি তাদের থামিয়েছি। কিন্তু সরকার যদি ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে তাদের থামিয়ে রাখা কঠিন হবে। জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে যদি গণ-আন্দোলন নামে, তার দায় জনগণের নয়, সরকারের হবে।’

গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান বলেন, ‘জাতীয় পার্টি বিগত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী স্বৈরাচারের সহযোগী ছিল। গুম-খুন, লুটপাট, দুর্নীতিতে তারা সমানভাবে দায়ী। এখন যারা জাপার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের স্বপ্ন দেখছে, তাদের সেই স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘বরিশালের আদালত প্রমাণ করেছে, প্রশাসন, বিচারালয়, সচিবালয় এখনো ফ্যাসিবাদের দোসরদের নিয়ন্ত্রণে। তারা সুযোগ পেলেই বিপ্লবীদের ধ্বংস করে দিতে চায়।’

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন— ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন (সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনায়), গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য হাবিবুর রহমান রিজু, রবিউল হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেওয়াজ খান বাপ্পি, যুব অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি শাকিল আহমেদ তিয়াস প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, বরিশালের একটি আদালত গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খানসহ একাধিক নেতার বিরুদ্ধে একটি মামলার আবেদন গ্রহণ করেছে, যার পেছনে জাতীয় পার্টির প্রভাব রয়েছে বলে দাবি করছেন নেতাকর্মীরা। সেই ঘটনার প্রতিবাদেই শুক্রবারের মশাল মিছিল।

Related Articles

Back to top button