ফিলিপাইনে ঘূর্ণিঝড় কালমায়েগির তাণ্ডবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৫

অনলাইন ডেস্ক: ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় ‘কালমায়েগি’র তাণ্ডবে মৃত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৮৫ জনে দাঁড়িয়েছে এবং কয়েক লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।
এটি চলতি বছর ফিলিপাইনে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে অন্যতম বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ে ফিলিপাইনের সবচেয়ে জনবহুল দ্বীপ সেবুর একাধিক শহর পুরোপুরি প্লাবিত হয়েছে এবং মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৪৯ জন স্থানীয় বাসিন্দা।
গতকাল বুধবার (৫ নভেম্বর) কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ৭৫ জন নিখোঁজ এবং ১৭ জন আহত হয়েছেন। বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, মানুষজন বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়েছেন, এবং পানির তোড়ে গাড়ি ও কনটেইনার ভেসে যাচ্ছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়ে মৃত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে একটি সামরিক হেলিকপ্টারের ৬ জন ক্রু-ও আছেন। গত মঙ্গলবার সেবুর দক্ষিণে মিন্দানাও দ্বীপে ত্রাণ তৎপরতায় সহযোগিতার জন্য হেলিকপ্টারটি পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু আগুসান দেল সুর এলাকার কাছে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।
ফিলিপাইন বিমানবাহিনী জানিয়েছে, হেলিকপ্টারটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরপরই তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান শুরু হয় এবং পরে বিমানবাহিনীর এক মুখপাত্র নিশ্চিত করেন যে, ‘পাইলটসহ ছয়টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।’ এই হেলিকপ্টারটি ত্রাণ কার্যক্রমে অংশ নেওয়া চারটি হেলিকপ্টারের একটি ছিল।
জাতীয় দুর্যোগ সংস্থা প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়কে কেন্দ্র করে চার লাখের বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
ফিলিপাইনে প্রতিবছর গড়ে ২০টি ঝড় ও ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড় কালমায়েগির এক মাস আগে টানা দুটি ঝড়ে ডজনখানেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। এ ঘটনায় বাড়িঘর ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।
এর আগে দেশটিতে অতিবৃষ্টি ও নিম্নমানের বন্যা নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার কারণে ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছিল। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কালমায়েগি এখন ভিয়েতনামের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, যেখানে এরই মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি




