ক্যাচ ছেড়ে বাংলাদেশকে ডুবালো নুরুল হাসান

অনলাইন ডেস্ক: ১ বলে প্রয়োজন ৩ রান। ক্রিজে নতুন ব্যাটার খারি পিয়েরে। সাইফ হাসানের বলটি উপরের দিকে তুলে পিয়েরে। দৌড়ে গিয়ে সহজ ক্যাচটি নিতে পারলেন না বাংলাদেশের উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহান। ততক্ষনে শাই হোপকে নিয়ে ২ রান করে ফেললেন পিয়েরে। আর এতেই বাংলাদেশের দেওয়া ২১৪ রানের লক্ষ্য ছুতে না পারলেও ছুয়েছে টাইগারদের করা ২১৩ রান।

আর এতেই তিন ফরম্যাট মিলিয়ে নিজেদের ৮১৩ ম্যাচের ইতিহাসে প্রথমবার টাইয়ের সম্মুখীন হয় বাংলাদেশ। সুপার ওভারে গিয়ে আর পারল না টাইগাররা। ১ রানে জিতে সিরিজে সমতা ফেরাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

সুপার ওভারে মুস্তাফিজের ৬ বলে ক্যারিবিয়ানরা রাদারফোর্ডকে হারিয়ে ১০ রান তোলে। ৬ বলে ১১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামেন সৌম্য আর সাইফ। হোয়াইট আর নো বলে ২ রান নিয়ে কোনো বল ছাড়াই ৪ রান তুলে ফেলে বাংলাদেশ। তারপরও ৬ বলে বাকী ৭ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেননি সৌম্য, সাইফ, শান্ত। শেষ পর্যন্ত ৯ রান তুলতে পারে আকিল হোসেনের ওভারে।

এর আগে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ভালো শুরুর আভাস দিলেও দলীয় ৪১ রানের মধ্যে জোড়া উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সাইফ হাসান ১৬ বলে ৬ ও তাওহিদ হৃদয় ১৯ বলে ১২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান।

এরপর নাজমুল হাসান শান্তকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে দলীয় ৬৮ রানে ২১ বলে ১৫ রান করে আউট হন শান্ত। তবে একপাশ আগলে রেখে রানের চালা সচল রাখেন সৌম্য ও মাহিদুল অঙ্কন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি এই দুই ব্যাটার। অঙ্কন ৩৫ বলে ১৭ ও সৌম্য ৮৯ বলে ৪৫ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। তাদের বিদায়ে পর ক্রিজে এসেই ফিরে যান নাসুম আহমেদ। এতে চরম চাপে পড়ে বাংলাদেশ।

এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ ও নুরুল হাসান সোহান মিলে প্রতিরোধ গড়েন। তবে দলীয় ১৬৩ রানে ২৪ বলে ২৩ রান করে আউট হন সোহান। এরপর ক্রিজে এসে ঝড় তোলেন রিশাদ হোসেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের ওপর চড়াও হন তিনি। ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ১৪ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন এই অলরাউন্ডার।

রিশাদের এমন ঝড়ো ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২১৩ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ৫৮ বলে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন মিরাজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে গুড়াকেশ মোতি নেন ৩টি উইকেট।

জবাবে খেলতে নেমে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২১৩ রান করে উইন্ডিজ। ইনিংসের শুরুতে নতুন বল নাসুম আহমেদেরব হাতে তুলে দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিতে মাত্র তিন বল সময় নেন এই স্পিনার। ইনিংসের তৃতীয় বলেই ব্রেন্ডন কিংকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন নাসুম।

শুরুতেই দুই প্রান্ত থেকে স্পিন আক্রমণে যান মিরাজ। নাসুমের সঙ্গে অপর প্রান্তে বোলিং করেন অধিনায়ক নিজেই। তবে দারুণ ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ভালোই জবাব দেন আলিক আথানজে ও কেসি কার্টি। শেষ পর্যন্ত আথানজে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে এই জুটি ভাঙেন রিশাদ হোসেন। একই ভাবে কার্টিকেও ফিরিয়েছেন এই লেগি।

এরপর আক্যাম অগাস্টে, শারেফানে রাদারফোর্ড, রোস্টন চেসরা দ্রুতই ফিরেছেন। তাতে ১৩৩ রানে সপ্তম উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে এরপর শাই হোপ ও জাস্টিন গ্রেভস মিলে দারুণ প্রতিরোধ গড়েন। ৪৪ রানের সেই জুটি দারুণ এক থ্রুতে ভাঙেন মিরাজ। ২৬ রান করে ফেরেন গ্রেভস। এরপর আকিল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে দারুণ ব্যাটিং করেন হোপ। ১৬ রান করে আকিল ফিরলেও শেষ পর্যন্ত ছিলেন হোপ। ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন এই ব্যাটার।

Related Articles

Back to top button