রিজার্ভ বেড়ে প্রায় ২১ বিলিয়ন ডলারে

অনলাইন ডেস্ক: রেমিট্যান্সের কারণে বাড়ছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। বর্তমানে রিজার্ভ বেড়ে প্রায় ২১ বিলিয়ন (২০.৮৫ বিলিয়ন) ডলারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত তথ্য বলছে, চলতি মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী দেশের রিজার্ভএখন ২০.৮৫ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ৮৫ কোটি ডলার। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে ২৬.১১ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৬১১ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।

এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরো একটি হিসাব রয়েছে, তা হলো ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। এ তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এটি শুধু আইএমএফকে জানানো হয়। এ হিসাবে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়। সে হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের কিছুটা ওপরে।

একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। দেশের রিজার্ভদিয়ে তিন মাসের বেশি আমদানি দায় মেটানো সম্ভব। নিট রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের ‘বিপিএম-৬’ পরিমাপ অনুসারে। আর মোট রিজার্ভথেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিলে (বিয়োগ করলে) নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়।

এদিকে চলতি ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্সে প্রথম ২২ দিনে ১৯৩ কোটি ডলার বা ১.৯৩ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৩ হাজার ৫৪৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ চলতি মাস ফেব্রুয়ারিতেও ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে রেমিট্যান্স। এর আগে নতুন বছরের প্রথম মাসের (জানুয়ারি) পুরো সময়ে ২১৯ কোটি (২.১৯ বিলিয়ন ডলার) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আর অর্থবছরের হিসাবে গত আগস্ট থেকে টানা ছয় মাস ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

বিষয়: বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ

Related Articles

Back to top button