খালেদা জিয়ার অবস্থা অপরিবর্তিত

অনলাইন ডেস্ক: বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিত্সাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। বিদেশে নেওয়া হবে না। এভারকেয়ারেই চিকিত্সা হবে। খালেদা জিয়ার শরীরে গুরুতর ইনফেকশনের কারণে তাকে উন্নত অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিফাংগাল চিকিত্সা দেওয়া হচ্ছে।

গতকাল মেডিক্যাল বোর্ডের একটি সূত্র জানায়, দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড প্রতিদিন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে তার চিকিত্সা দিয়ে আসছেন। শরীরে গুরুতর ইনফেকশনের কারণে তাকে উন্নত অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিফাংগাল চিকিত্সা দেওয়া হচ্ছে। কিডনির কার্যক্ষমতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তার ডায়ালাইসিস শুরু করা হয়। গতকালও ডায়ালাইসিস দিতে হয়েছে।

গত কয়েক দিনের বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষায় তার স্বাস্থ্যে বেশ কিছু জটিলতা পরিলক্ষিত হয়। তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়া, রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাওয়া এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় তাকে হাইফ্লো নজল ক্যানুলা এবং বিপাপ মেশিনের মাধ্যমে চিকিত্সা দেওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তার ফুসফুস ও অন্যান্য অর্গানকে বিশ্রাম দেওয়ার জন্য তাকে ইলেক্টিভ ভেন্টিলেটর সাপোর্টে নেওয়া হয়। পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ ও ‘ডি আই সি’ এর ফল স্বরূপ তাকে রক্ত ও রক্তের বিভিন্ন উপাদান ট্রানফিউশন দিতে হচ্ছে। সব চিকিত্সার পরও জ্বর না কমার কারণে এবং পাশাপাশি রেগুলার কার্ডিওগ্রাফিতে এয়ারটিক ভালবে কিছু সমস্যা পরিলক্ষিত হওয়ায় টিইই করা হয় এবং সেখানে ইনফেকটিভ এনডোকারডিটিস ধরা পরে। তত্ক্ষণাত্ মেডিক্যাল বোর্ডের দেশি- বিদেশি চিকিত্সকদের পরামর্শক্রমে এ রোগের চিকিত্সা গাইডলাইন অনুযায়ী চিকিত্সা শুরু করা হয়।

এদিকে জানা গেছে, দেশে ফেরার পর খালেদা জিয়ার বড় পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান বেশির ভাগ সময় হাসপাতালে শাশুড়ির শয্যাপাশে কাটাচ্ছেন। নিবিড়ভাবে শাশুড়ির স্বাস্থ্যের খোঁজখবর রাখছেন। চিকিত্সার বিষয়গুলোর তিনি সমন্বয় করেন। আগামী ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। তখন তিনিও মায়ের পাশে থাকতে পারবেন।

Related Articles

Back to top button