যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে পর্যটকদের দেখাতে হতে পারে সোশ্যাল মিডিয়া ইতিহাস

অনলাইন ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টম অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন ডিপার্টমেন্ট (সিবিপি) এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি (ডিএইচএস) একটি নতুন প্রস্তাব পেশ করেছে। এই প্রস্তাব অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যসহ প্রায় ৪০টি দেশ থেকে পর্যটকরা যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে চাইলে তাদেরকে অচিরেই গত পাঁচ বছর পর্যন্ত তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ইতিহাস দেখাতে হতে পারে।

এই নতুন নিয়মের আওতায় পড়বেন সেই সব পর্যটকরা, যারা ইলেকট্রনিক ব্যবস্থায় (ইএসটিএ) ভ্রমণের অনুমোদন পেলে ভিসা ছাড়াই ৯০ দিন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রে জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকেই জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা করাকে প্রধান কারণ হিসাবে দেখিয়ে সীমান্তে কড়াকড়ির নানা পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এই নতুন পরিকল্পনা সম্ভাব্য ভ্রমণকারীদের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে কিংবা ডিজিটাল জগতে তাদের অধিকার ক্ষুন্ন হতে পারে। আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্র মেক্সিকো ও কানাডার সঙ্গে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চলেছে, যেখানে বিপুল সংখ্যক বিদেশি পর্যটকের আগমনের আশা করা হচ্ছে। আবার ২০২৮ সালেও লস অ্যাঞ্জেলেসে অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হবে। এসব আয়োজনের আগে দিয়ে নতুন প্রস্তাবটি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের জার্নাল ফেডারেল রেজিস্টারে দেখা গেছে।

ছবি: সিএনবিসি
এতে বলা হয়েছে, নতুন নিয়মে ইলেকট্রনিক সিস্টেম ফর ট্রাভেল অথরাইজেশন (ইএসটিএ) ব্যবস্থায় আবেদনকারীদেরকে তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে তাদের অন্তত গত ৫ বছরের ইতিহাস দিতে হবে।

তবে এই স্যোশাল মিডিয়া ইতিহাসে কোন কোন তথ্য দিতে হবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। বর্তমানে ভিসা মওকুফ পাওয়া দেশগুলোর আবেদনকারীদের ইলেকট্রনিক সিস্টেম ফর ট্রাভেল অথোরাইজেশন (ইএসটিএ) কর্মসূচিতে অল্পসংখ্যক কিছু তথ্য দিতে হয়। আবেদনকারীরা ৪০ ডলার দিয়ে এই তথ্যগুলো জমা দেন।

এই ভ্রমণ সুবিধা পায় প্রায় ৪০টি দেশের নাগরিকরা; যার মধ্যে আছে যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানও। ইএসটিএ ভ্রমণ অনুমোদন নিয়ে এসব দেশের পর্যটকরা বহুবার যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ করতে পারেন এবং এই অনুমোদনের মেয়াদ থাকে দুই বছর।

নতুন নিয়মে আবেদনকারীদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত তথ্যের লম্বা তালিকা চাওয়া হতে পারে। যার মধ্যে থাকবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথ্য ছাড়াও গত ৫ এবং ১০ বছরজুড়ে ব্যবহার করা ই–মেইল ঠিকানা, ফোন নাম্বার, বাবা-মা, স্বামী-স্ত্রী, ভাই-বোন ও সন্তানদের নাম, জন্মতারিখ, বাসস্থান ও জন্মস্থান।

সূত্র: রয়টার্স

Related Articles

Back to top button