ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

দোয়া, মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভাসহ নানা আয়োজন
অনলাইন ডেস্ক: সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য নিউ নেশন’-এর প্রকাশক ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ ৯ ডিসেম্বর। ২০২৩ সালের এই দিনে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এক বছরের বেশি সময় ধরে তিনি ক্যানসার সংক্রান্ত শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মরহুমের স্মরণে ও তার রুহের মাগফিরাত কামনায় আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় আজিমপুর কবরস্থানে দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও কুরআনখানি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া মতিঝিলের ১, আর. কে. মিশন রোডের ইত্তেফাক ভবনে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনও ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের জীবন ও কর্মের স্মরণে আলাদা দোয়া ও আলোচনাসভার আয়োজন করবে। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব জার্নালিস্টস ফর হিউম্যান রাইটস আগামীকাল বুধবার সকাল ১১টায় তোপখানা রোডের প্রেস কাউন্সিল হলে মইনুল হোসেনের জীবন ও কর্মের ওপর আলোকপাত করতে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রখ্যাত আইনজীবী, কলামিস্ট ও লেখক। তিনি ছিলেন আইন, ন্যায্যতা, গণতন্ত্র ও মানবতার পক্ষের সংগ্রামী ব্যক্তিত্ব। ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য নিউ নেশন’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রকাশক মইনুল হোসেন মুক্ত সাংবাদিকতায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। নির্ভিক সাংবাদিকতার পথিকৃৎ তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র মইনুল হোসেন জীবদ্দশায় রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৪০ সালের জানুয়ারি মাসে পিরোজপুরে জন্মগ্রহণকারী মইনুল হোসেন ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর আইন বিষয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করতে লন্ডনে যান। ১৯৬৫ সালে দেশে ফিরে তিনি ঢাকা বার কাউন্সিলে আইন পেশা শুরু করেন। ১৯৬৯ সালে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ইন্তেকালের পর তিনি দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং পরে পত্রিকাটির সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
মইনুল হোসেন ১৯৭৩ সালে ভাণ্ডারিয়া (পিরোজপুর) থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মধ্য দিয়ে ১৯৭৫ সালের মে মাসে গণতন্ত্র বিলুপ্তি এবং শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক একদলীয় ব্যবস্থা বাকশাল গঠনের প্রতিবাদে তিনি জেনারেল এম এ জি ওসমানীর সঙ্গে পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করেন।
২০০০-২০০১ সাল মেয়াদে তিনি সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০৮ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন, তথ্য ও ভূমি বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
দেশে গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং স্বাধীন বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের অবদান আলোকবর্তিকার মতো উজ্জ্বল হয়ে আছে।



