ইয়েমেনে হুতিদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বিমান হামলা

অনলাইন ডেস্ক: ইসরায়েল দীর্ঘ এক মাস পর আবারও ইয়েমেনে হামলা চালিয়েছে। সোমবার (৭ জুলাই) ভোররাতে হুতি নিয়ন্ত্রিত তিনটি বন্দর এবং একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিমান হামলা চালানোর কথা নিশ্চিত করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। খবর রয়টার্সের।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়, লোহিত সাগরের তীরবর্তী হোসেইন, রাস ইসা এবং সালিফ বন্দর এবং রাস কান্তিব বিদ্যুৎকেন্দ্রকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হুতিদের দফায় দফায় চালানো হামলার জবাবে এই প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে।

হামলার পর হুতিদের এক মুখপাত্র দাবি করেন, স্থানীয়ভাবে নির্মিত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে তারা ইসরায়েলি হামলা প্রতিহত করেছে। তবে এই দাবির সত্যতা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা যায়নি।

এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হোদেইদাহ শহরের প্রধান বিদ্যুৎকেন্দ্র ইসরায়েলি হামলার কারণে সম্পূর্ণভাবে বিকল হয়ে পড়েছে। এতে পুরো শহর অন্ধকারে ডুবে গেছে এবং জনজীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে।

হুতিনিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম আল-মাসিরা টিভি জানিয়েছে, ইসরায়েল হোদেইদাহ শহরে একাধিক টার্গেটের ওপর ধারাবাহিকভাবে বিমান হামলা চালিয়েছে। এ হামলার আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তিনটি বন্দর এলাকায় অবস্থানরত লোকজনকে সরে যাওয়ার জন্য সতর্কবার্তা দিয়েছিল।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী আরও জানিয়েছে, রাস ইসা বন্দরে ‘গ্যালাক্সি লিডার’ নামের একটি বাণিজ্যিক জাহাজেও আঘাত হানা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের শেষ দিকে হুতিরা জাহাজটি দখল করেছিল।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর ইয়েমেনের ইরান–সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি লোহিত সাগরের বিভিন্ন বাণিজ্যিক জাহাজ এবং ইসরায়েলি স্বার্থে একের পর এক হামলা চালিয়ে আসছে। হুতিদের দাবি, তারা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাতেই এসব হামলা চালাচ্ছে। এই টানা হামলার কারণে লোহিত সাগর দিয়ে বিশ্ববাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ রুট মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

Related Articles

Back to top button