কর্মচারীদের হাত-পা বেঁধে হিমাগারে ডাকাতি, খুলে নিয়ে গেছে সিসি ক্যামেরা

অনলাইন ডেস্ক: রংপুর মহানগরের ‘রংপুর হিমাগারে’ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে, সংঘবদ্ধ ডাকাত দল হিমাগারে লুটের পাশাপাশি কর্মরত স্টাফদের হাত-পা বেঁধে বেধড়ক মরাধর করে।
গতকাল শনিবার (১ অক্টোবর) সকালে হিমাগারের মালিক মিজানুর রহমান এ তথ্য জানান। এর আগে শুক্রবার নগরের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের তাজহাট থানার ধর্মদাস বারো আউলিয়া এলাকায় রাত আনুমানিক ২টা থেকে সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কর্মচারীদের বরাতে মিজানুর রহমান জানান, ১৫-২০ জন মুখোশধারী বাঁশের তৈরি মই ব্যবহার করে হিমাগারের পেছন দিক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র হাঁসুয়া, রামদা, বল্লমসহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র ছিল। তারা হিমাগারের ভেতরে প্রবেশ করে নাইটগার্ড, ড্রাইভার ও অন্যান্য কর্মচারীদের বেধড়ক মারধর করে এবং হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখে। এ সময় পেপসিকো কোম্পানির সাব্বির ও সবুজ আলীর কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা এবং অন্যান্য কর্মচারীদের কাছ থেকে আরও ২৫ হাজার টাকা লুট করে।
পরে হিমাগারের ব্যবস্থাপকের কক্ষের ফাইল কেবিনেট ও টেবিলের ড্রয়ার ভাঙচুর করে। এসময় সেখানে কোনো নগদ অর্থ না পেয়ে ডাকাতরা চলে যাওয়ার সময় সিসিটিভির ডিভিআর খুলে নিয়ে যায়।
রংপুর হিমাগারের ভুক্তভোগী কর্মচারী সাহেব আলী, ইলতুত মিয়া, রিয়াজুল, দুলাল, ট্রাকচালক বাবু জানান, ডাকাতদের কথাবার্তায় স্থানীয় ভাষার পাশাপাশি কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া ও ঢাকাইয়া ভাষায় কথা বলতে শোনা গেছে। তাদের প্রত্যেকের মুখ কাপড়ের তৈরি মাস্কে ঢাকা ছিল। নগদ টাকা লুট করা ছাড়াও পাঁচটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায় তারা।
তাজহাট থানার ওসি শাজাহান আলী জানান, ডাকাতির খবর পেয়ে তাজহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।




