খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া করা নৈতিক, ঈমানি ও রাজনৈতিক দায়িত্ব: পরওয়ার

অনলাইন ডেস্ক: চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া করাকে ‘নৈতিক, ঈমানি ও রাজনৈতিক দায়িত্ব’ হিসেবে দেখছেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ-এর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। রোববার (৩০ নভেম্বর) রাতে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।
হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তিনি জানান, জামায়াতের আমিরের পক্ষ থেকে তারা খালেদা জিয়াকে দেখতে এসেছেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশের রাজনীতি ও আন্দোলনের দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক রয়েছে এবং গণতন্ত্রের দাবিতে জামায়াতও তার সঙ্গে রাজপথে সংগ্রাম করেছে। বর্তমানে তিনি গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় দলের পক্ষ থেকে তার জন্য দোয়া ও শুভকামনা জানানো হয়েছে।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘দেশবাসীকে বলব, বেগম খালেদা জিয়ার জন্য আন্তরিকভাবে, তার সুস্থতার জন্য দোয়া করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব, ঈমানি দায়িত্ব, রাজনৈতিক দায়িত্ব, আমরা যারা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছি।’
জামায়াতের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সেক্রেটারি জেনারেল খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের কাছ থেকে সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারেন এবং তার পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন ঢাকা–১৭ আসনে জামায়াতের প্রার্থী এস এম খালিদুজ্জামান।
হাসপাতালে আরও উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনা ও চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
এদিকে একই রাতে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে হাসপাতালে যান গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ‘আপসহীন নেত্রী’ উল্লেখ করে বলেন, ‘তিনি স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য সংগ্রাম করেছেন, ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তিনি আমাদের জন্য দৃষ্টান্ত ও সংগ্রামের প্রতীক।’
রাশেদ খাঁন বলেন, ‘তিনি কখনোই শেখ হাসিনার সাথে আপস করেননি। এজন্যই তিনি সুস্থ অবস্থায় পায়ে হেঁটে জেলে গিয়ে ফিরেছেন হুইল চেয়ারে। আপস করলে তাকে জেলে যেতে হতো না। তাকে অসুস্থও হতে হতো না। তার এই অসুস্থতার জন্য দায়ী ভারতীয় মদদপুষ্ট শেখ হাসিনা সরকার।




