উপকূলীয় ও নদী এলাকায় পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় টহল দিচ্ছে কোস্ট গার্ড

অনলাইন ডেস্ক: উপকূলীয় ও নদীর তীরবর্তী এলাকায় বসবাসরত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মন্দির ও পূজা ম-পের সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করছে কোস্ট গার্ড। উপকূলীয় এলাকাসমূহের মধ্যে কোস্ট গার্ড ঢাকা জোন ৪৩ টি, পূর্ব জোন (চট্টগ্রাম) ৫৬ টি, পশ্চিম জোন (মোংলা) ৪৫ টি ও দক্ষিণ জোন (ভোলা) ৮০ টি, মোট ২২৪ টি মন্দির ও পূজা মণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করছে। দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে যেকোনো ধরনের নাশকতা থেকে জনগণের জানমাল এবং মন্দির ও পূজামণ্ডপ রক্ষা করতে প্রস্তুত আছে কোস্ট গার্ড। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে কোস্ট গার্ড টহল দিচ্ছে।
গতকাল সোমবার নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ডিআইটি মাঠে লালপুর কালীমন্দির ও সার্বজনীন দুর্গোৎসব পূজামন্ডপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কোস্ট গার্ড ঢাকা জোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশন্স) লেফট্যানেন্ট মোঃ রাফায়েল মনোয়ার উৎসব এসব কথা বলেন।
ডিআইটি মাঠের উত্তর-পশ্চিম দিকে লালপুর কালীমন্দিরের অবস্থান। মন্দিরের উত্তর দেয়াল ঘেঁষে তাহমিদুল কুরআন ওয়াস সুন্নাহ মাদ্রাসার এক তলা ভবন। মন্দিরের পেছনে রওজাতুল নূরানী ক্যাডেট মাদ্রাসার পাঁচ তলা ভবন। ডিআইটি মাঠে ঢুকতেই মসজিদ। মন্দিরের সামনে কয়েকটি টং ঘরের দোকান। দোকানদার কালাম বলেন, ফতুল্লাল লালপুর কালীমন্দিরে যুগ যুগ ধরে এভাবেই পূজা উদযাপন হচ্ছে। এখানে মসজিদ, মাদ্রাসা পাশাপাশি থাকলেও কোনো সকল ধর্মের মধ্যে সম্প্রীতি রয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে লেফট্যানেন্ট মোঃ রাফায়েল মনোয়ার উৎসব বলেন, পূজাম-পে আগত ভক্তদের যাতায়াত সহজতর করতে নদী ও নদী তীরবর্তী এলাকায় বিশেষ টহল এবং প্রয়োজনীয় সহায়তাও প্রদান করা হচ্ছে। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি যেকোনো প্রকার দুর্ঘটনা এড়াতে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রতিমা বিসর্জনের দিন অতিউৎসাহী জনগণকে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত নৌযানে উঠা থেকে বিরত রাখা, নৌযানে অবস্থানরত অবস্থায় সকলের লাইফ জ্যাকেট পরিধান নিশ্চিত করা এবং সাঁতার না জানা ব্যক্তিকে নৌযানে না উঠার পরামর্শ দেন তিনি। এসব বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কোস্ট গার্ড পূজামণ্ডপ এলাকায় আগতদের মাঝে হ্যান্ড মাইকিংয়ে প্রচারণা করছে। এর পাশাপাশি প্রতিমা বিসর্জনের স্থানসমূহে নৌকাডুবির মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় উদ্ধারের জন্য কোস্ট গার্ডের বিশেষ ডুবুরি দল প্রস্তুত থাকবে। জরুরি প্রয়োজনে কোস্ট গার্ডের সেবার জন্য ভুক্তভোগীদের ১৬১১১-এ যোগাযোগ করার জন্য তিনি অনুরোধ।




