কুমেক হাসপাতালে দুর্নীতি

ড্যাবের কুমিল্লা জেলা, মহানগর ও মেডিকেল কলেজ শাখার কমিটি স্থগিত

অনলাইন ডেস্ক: কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কেনাকাটায় অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপিপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) কুমিল্লা জেলা, মহানগর ও মেডিকেল কলেজ শাখার সব কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ড্যাবের ওই তিনটি কমিটি স্থগিতের চিঠি পাওয়া গেছে। এর আগে সোমবার রাতে ড্যাবের কেন্দ্রীয় মহাসচিব জহিরুল ইসলাম (শাকিল) স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ড্যাবের কুমিল্লা মেডিকেল শাখার সাধারণ সম্পাদক সফিকুর রহমান এবং জেলা ও মহানগর কমিটির একাধিক নেতা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অসাংগঠনিক কার্যক্রমে যুক্ত থাকার অভিযোগে ড্যাবের কুমিল্লা জেলা, মহানগর ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ শাখার সব কার্যক্রম স্থগিত করা হলো। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ড্যাব তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের কেনাকাটায় বড় ধরনের অনিয়মের বিষয়টি জানাজানি হলে চিকিৎসক মহলে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। অভিযোগ ওঠে ২৪ কোটি টাকার কেনাকাটায় চার কোটি টাকার বেশি লুটপাট হয়েছে। এতে হাসপাতালের পরিচালক মাসুদ পারভেজ ও ড্যাব নেতারা জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপর গত রোববার দুপুরে হাসপাতালের সম্মেলনকক্ষে ড্যাবের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ শাখা এবং জাতীয়তাবাদী চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও মেডিকেল কলেজ কর্মচারীদের উদ্যোগে অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। ওই সভায় ড্যাবের কুমিল্লা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ডা. আরিফ হায়দার অনিয়ম ও দুর্নীতির বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করেন।

এ সময় ড্যাব কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি এমএম হাসান এবং মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক আরিফ হায়দার হাসপাতালের কেনাকাটায় অর্থ লোপাটের বিষয় নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দেন।

ড্যাব কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি মিনহাজুর রহমানের (তারেক) সভাপতিত্বে সভায় কুমিল্লা মেডিকেলের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক, ড্যাব কুমিল্লা মেডিকেল শাখার সাধারণ সম্পাদক সফিকুর রহমানসহ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

তবে এমএম হাসান ও হাসপাতালের পরিচালক দাবি করেছেন, ড্যাবের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হয়েছে।

ড্যাব কুমিল্লার সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ডা. এমএম হাসান বলেন, কমিটি নিয়ে বিরোধ এবং দ্বন্দ্বের জেরে একটি ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হয়েছে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি এখানে কোনো ধরনের অনিয়মের সঙ্গে আমরা জড়িত নই। গ্রুপিং দ্বন্দ্ব থেকেই এসব কাদা ছোড়াছুড়ি চলছে।

Related Articles

Back to top button