খাগড়াছড়ির তিন সড়কে আধাবেলা অবরোধ চলছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: খাগড়াছড়ির তিনটি সড়কে আধাবেলা অবরোধ চলছে। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত খাগড়াছড়ি-ঢাকা, খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কে এই অবরোধ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

জেলার মানিকছড়ির তবলাপাড়ায় অপ্রীতিকর ঘটনার প্রতিবাদ এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ইউপিডিএফ সমর্থিত তিন পাহাড়ি সংগঠন- পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন এবং নারী আত্মরক্ষা কমিটি এই অবরোধের ডাক দিয়েছে। মঙ্গলবার রাত পৌনে আটটার দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি মিঠুন চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের খাগড়াছড়ি জেলা আহ্বায়ক এন্টি চাকমা।

ইউপিডিএফের অন্যতম সংগঠক অংগ্য মারমা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, তিনটি পাহাড়ি সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও নারী আত্মরক্ষা কমিটি অবরোধের ডাক দিয়েছে। অবরোধ চলাকালে অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি ওষুধ ও বিদ্যুৎ সরবরাহকারী গাড়ি, সাংবাদিক ও সংবাদপত্র বহনকারী যানবাহন চলবে।

জানা যায়, অবরোধের ফলে দূরপাল্লার সব ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভোরে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কের চেঙ্গীব্রিজ এলাকা ও পানছড়ি সড়কের টেকনিক্যাল স্কুলের সামনে টায়ার ও গাছের গুড়ি ফেলে তাতে আগুন দেয় অবরোধকারীরা। পরে পুলিশ গিয়ে সড়ক থেকে তা অপসারণ করে। এছাড়া অবরোধ সমর্থকরা সড়কের বিভিন্ন স্থানে চোরাগোপ্তাভাবে পিকেটিং করছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, অবরোধের কারণে কয়েকটি সড়কে যানবাহন চলাচল সীমিত থাকলেও কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কিছু স্থানে সড়কে টায়ার পোড়ানো হলেও তা সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় ৬ জন সন্ত্রাসী তবলাপাড়ায় গ্রামবাসীর ওপর গুলিবর্ষণ করে। স্থানীয় জনতা সংঘবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ করে তাদের। এ ঘটনার পর থেকে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে আসছে বিভিন্ন সংগঠন।

Related Articles

Back to top button