রাণীশংকৈলে এক বছর পর শিশুর মরদেহ উত্তোলন  

অনলাইন ডেস্ক: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে মৃত্যুর এক বছর পর এক বছর পর শিশু মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। রোববার (৩১ আগস্ট) নয়ন নামে ওই শিশু মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

শিশু নয়ন রাণীশংকৈল পৌর শহরের উত্তর ভান্ডারা মহল্লার মনিরুল ইসলামের ছেলে।

গত ২৯ আগস্ট ২০২৪ সালে নয়নের মা সুরাতুন নেছা বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ কোর্টে ছেলে নয়ন হত্যা মামলা দায়ের করেন। সে মামলার প্রেক্ষিতে পিবিআই কবরস্থান থেকে নয়নের লাশ উত্তোলন করে প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করে।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নয়নের মা সুরাতুন, নয়ন ও তার বোন সিমি আকতার নারায়নগঞ্জের একটি টেক্সটাইল ফ্যক্টরিতে কাজ করতো। সেখানে তারা রিপন কনট্রাকটরের বাসায় ভাড়ায় থাকতেন। ঘটনার দিন সুরাতুন ও সিমি নয়নকে বাসায় রেখে নাইট ডিউটিতে ফ্যক্টরিতে যান। রাতে ডিউটি শেষে সকালে বাসায় এসে তারা নয়নের লাশ ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে। তারা নয়নের মাথায় ও গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পায়। এ সময় তারা বাসায় জমানো বেতনের জমানো ৪০ হাজার টাকাও খুঁজে পাননি।

এ নিয়ে সুরাতুন প্রথমে ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে দেশের অস্বাভাবিক পরিস্থিতির জন্য থানায় মামলা নেয়নি। এ অবস্থায় সেই রাতেই শিশু নয়নকে রাণীশংকৈলে পাঁচপীর কবরস্থানে দাফন করা হয়। পরে গত ২৯ আগস্ট সুরাতুন বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ কোর্টে মামলা দায়ের করেন।

সুরাতুন জানান, বগুড়ার সুজন নামে নেশাখোর এক ছেলে নারায়নগঞ্জে আমাদের পাশের বাসায় থাকতো। সে আমার বাসায় বেতনের জমানো চল্লিশ হাজার টাকা চুরি করতে যায়। সে সময় আমার ছেলে নয়ন তা দেখে ফেললে তাকে গলাটিপে এবং বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলেছে । আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ পিবিআই এর পুলিশ পরিদর্শক মাহাবুবুর রহমান জানান, গত আট মাস আগে পিবিআইতে এই মামলার তদন্ত আসে। এরই প্রেক্ষিতে রাণীশংকৈল ইউএনও’র নেতৃত্বে আলামত স্বরূপ লাশের হাড়,দাঁত ও চুল সংগ্রহ করেছি। এসব আলামত পরীক্ষার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের বরাবরে প্রেরণ করা হবে।

রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাফিউল মাজলুবিন রহমান জানান, নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে পিবিআই টিম লাশ উত্তোলনের জন্য আসে। পিবিআই টিমের উপস্থিতিতে লাশের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। বাকী কাজ ফরেন্সিক এক্সপার্টাইজের কাছে পাঠানোর পর এ মামলার পরবর্তী কাজ অগ্রসর হবে।

Related Articles

Back to top button