বিশ্ব অ্যাথলেটিকসে জায়গা পেয়ে রনি বললেন, ‘সারা রাত চোখে ঘুম ছিল না’

অনলাইন ডেস্ক: আগামী ১৩ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর জাপানের রাজধানী টোকিওতে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ। টোকিওতে সারা বিশ্বের ক্ষিপ্রগতির অ্যাথলেটরা জড়ো হবেন। বিশ্বের এত বড় মঞ্চে বাংলাদেশের একজন অ্যাথলেট অংশগ্রহণ করবেন। সেনাবাহিনীর নাজিমুল হোসেন রনি লড়াই করতে যাবেন, ৪০০ মিটার হার্ডলসে খেলবেন তিনি। এত বড় আসরে এবারই প্রথম খেলার সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
অ্যাথলেটিক ক্যারিয়ার খুব বড় না। মাত্রই ৪ বছরের ক্যারিয়ার। এরই মধ্যে বিশ্ব অ্যাথলেটিকসে খেলার সুযোগ পেয়ে গেছেন বগুড়ার ছেলে রনি। অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন পরশু রাতে তার নাম চূড়ান্ত করেছে। নিজের নাম চূড়ান্ত হওয়ার পর সেই রাতে দু’চোখের পাতা এক করতে পারেননি রনি। রোমাঞ্চ অনুভব করছিলেন ২৬ বছরের এই অ্যাথলেট।
‘ঘুম হওয়াটা কঠিন হয়ে গিয়েছিল। কারণ এশিয়ান গেমস, অলিম্পিক গেমসে খেলার সবারই একটা স্বপ্ন থাকে। বিশ্ব অ্যাথলেটিকস তো অনেক বড় একটা মঞ্চ। আমি সেখানে যাওয়ার জন্য মনোনীত হয়েছি শুনে ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ জানাই অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনকে এবং আমার সেনাবাহিনীর কোচ, কর্মকর্তাদেরকে বললেন নাজিমুল হোসেন রনি।
এবার ১৭তম জাতীয় সামার অ্যাথলেটিকসের ৪০০ মিটার হার্ডলসে স্বর্ণ পেয়েছেন রনি। বিশ্ব অ্যাথলেটিকসে গেলে এই ইভেন্টেই লড়াই করবেন। তাছাড়া গত বছর মালয়েশিয়ায় ওপেন অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপের ৪০০ মিটার হার্ডলসে চতুর্থ হয়েছেন। এ বছর দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৬তম এশিয়ান অ্যাথলেটিকসের হিটে সেমিফাইনাল খেলেছেন এবং তার পজিশন ছিল ১৩। রনি বললেন, ‘আমি তো ভাবিনি যে ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিকসে যেতে পারবো। তবে ইদানীং ভালো করছিলাম বলে একটা বিশ্বাস মনের মধ্যে ঘুরছিল, যদি ভালো কোথাও যাওয়ার সুযোগ আসে। এটা পেয়ে মনে হচ্ছে আরও বেশি অনুশীলন করি। নিজেকে আরও ভালো জায়গায় নিয়ে গেলে দেশও মর্যাদা পাবে, বললেন নাজিমুল হোসেন রনি।
এত ইভেন্টে থাকতে কেন ৪০০ মিটার হার্ডলস। সেই গল্পটা শোনালেন বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার নবীপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম-নাসিমা বেগম দম্পতির বড় সন্তান নাজিমুল হোসেন রনি। সেনাবাহিনীতে ২০১৭ সালে প্রবেশ করেছেন তিনি। আর খেলাটা শুরু করেছেন ২০২১ সালে। সার্ভিসেস দলে খেলা হয়। সেখান থেকে খেলতে খেলতে আজ রনি চলে গেলেন বিশ্ব মঞ্চে, বিশ্ব অ্যাথলেটিকসে। তার পছন্দের খেলোয়াড়ের নাম শুনে ভালো লাগবে।
রনি বলেন, ‘আমি নরওয়ের কার্স্টেন ওয়ারহোমের ভক্ত। বর্তমানে কার্স্টেন ওয়ারহোম বিশ্ব রেকর্ডধারী। তার খেলা, অনুশীলনসহ অনেক কিছু আমি ফলো করি। কার্স্টেন যদি ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিকসে আসেন, আমি তার সঙ্গে দেখা করতে চাই। কথা বলতে চাই।’