টেস্ট দুই স্তরের হলে বাংলাদেশের পরিণতি কী হবে, জানালেন মুমিনুল

অনলাইন ডেস্ক: টেস্ট ক্রিকেটকে দুটো স্তরে ভাগ করার কথা ভাবছে আইসিসি। চলতি মাসের শেষ দিকেই ইংল্যান্ড, ভারত আর অস্ট্রেলিয়ার আলোচনায় বসার কথা এই বিষয়ে। বিষয়টা নিয়ে ইতোমধ্যেই আলোড়ন পড়ে গেছে ক্রিকেট পাড়ায়। ক্লাইভ লয়েড ধুয়ে দিয়েছেন রীতিমতো। এবার বাংলাদেশ ব্যাটার মুমিনুল হকও তার কাছাকাছি মত দিয়েছেন। তার অভিমত, দুই স্তরবিশিষ্ট টেস্ট আমলে এলে লাল বলের ক্রিকেটের মূল্য আরও কমবে দেশের ক্রিকেটারদের কাছে।
সিডনি মর্নিং হেরাল্ড জানাচ্ছে, ‘বিগ থ্রি’ নিজেদের মধ্যে খেলার পরিমাণ বাড়াতে টেস্ট ক্রিকেটকে দুই স্তরে ভাগ করতে চাইছে। যার জন্য আলাপও শুরু হয়ে গেছে ইতোমধ্যেই।
দুই স্তরের কাঠামো যদি বাস্তবায়ন করা হয়, তাহলে তা ফলবে আগামী ২০২৭ সালের পরে। সেটা হলে প্রতি তিন বছরে অন্তত দুই বার তিনটি দল নিজেদের মধ্যে টেস্ট খেলবে। বর্তমান কাঠামোয় প্রতি চার বছরে দু’বার করে মুখোমুখি হয় এই দলগুলো।
বিষয়টি আলোচনার টেবিলে আসবে চলতি মাসের শেষে। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও ভারতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলবেন আইসিসির চেয়ারম্যান জয় শাহ, বলা হয় সে প্রতিবেদনে। এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে আইসিসি কিছু জানায়নি।
তবে মুমিনুলকে এমন গুঞ্জন বেশ হতাশ করছে। বাংলাদেশের টেস্ট স্পেশালিস্ট হিসেবে তকমা পেয়ে যাওয়া এই বাঁহাতি ব্যাটার সম্প্রতি ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমার জন্য এটা হতাশার। আমি কোনো দলকে ছোট বা বড় বলছি না, আমি জানি না আমরা দ্বিতীয় স্তরে ভালো খেললেও প্রথম স্তরে উঠতে পারব কি না।’
‘আমার মনে হয় টেস্ট ম্যাচের সংখ্যা কমে যাবে। এটা টেস্ট খেলোয়াড়দের জন্য বেশ হতাশার। আমি মনে করি না আমাদের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে এটা। সত্যি বলতে যদি আমরা ভালো দলের বিপক্ষে খুব বেশি ম্যাচ না খেলি, তাহলে আমাদের খেলার মানও উন্নত হবে না; বড় ও শক্তিশালী প্রতিপক্ষের মুখোমুখি না হয়ে নিজেদের মধ্যে নিয়মিত খেলতে থাকলে একই মানে রয়ে যেতে হবে।’
‘যখন আপনি ভালো দলের বিপক্ষে খেলবেন, আপনি চেষ্টা করবেন কী করে নিজের উন্নতি করা যায়, যাতে করে তাদের বিপক্ষে ভালো করা যায়। এটা হলে টেস্ট ক্রিকেটের মানও কমে যাবে, মূল্য কম দেওয়া হবে, খেলোয়াড়রা সাদা বলের ক্রিকেটের দিকে ঝুঁকবেন।’
এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা হলে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের সঙ্গী হবে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দল। আর বাংলাদেশের নিয়তি হবে দ্বিতীয় স্তরে থেকে যাওয়া।

Related Articles

Back to top button