৪৪ হাজার বন্দিকে ক্ষমা করে দিচ্ছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট

অনলাইন ডেস্ক: সরকারের সমালোচনাকারী থেকে শুরু করে বিরোধী মতাদর্শের কর্মীসহ বিভিন্ন অভিযোগো দোষী সাব্যস্ত হাজার হাজার বন্দিকে ক্ষমা করে দেবেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো।

আইনমন্ত্রী সুপ্রতমান অ্যান্ডি আগটাস বলেছেন, মানবিক কারণে এবং দেশের জনাকীর্ণ কারাগারগুলো থেকে মুক্তি দিতে দেশব্যাপী প্রায় ৪৪ হাজার বন্দিকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হতে পারে। এই সংখ্যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির মোট বন্দির প্রায় ৩০ শতাংশের সমান।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব বন্দিকে ক্ষমা করা হবে তাদের মধ্যে মানহানি ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের মামলায় দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিরাও রয়েছেন। এছাড়া ইন্দোনেশিয়ার ইলেকট্রনিক ইনফরমেশন অ্যান্ড ট্রানজেকশন আইনের অধীনে প্রেসিডেন্টের মানহানি করেছেন – এমন বন্দিরাও রয়েছেন।

অ্যান্ডি আগটাস বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা চর্চা করে কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করা বা পাপুয়া প্রদেশে বিক্ষোভ করার কারণে কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ১৮ জন সক্রিয় কর্মীও মুক্তি পাবেন।

১৯৬৯ সালে জাতিসংঘ-সমর্থিত একটি বিতর্কিত গণভোটের পর পাপুয়া অঞ্চল ইন্দোনেশিয়ার শাসনাধীনে আসে। অনেক পাপুয়াবাসী বলেন, এটি স্থানীয় জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন নয়।

পাপুয়ার স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা ইন্দোনেশিয়ার সরকারের জন্য একটি স্পর্শকাতর বিষয়। সরকার দীর্ঘদিন ধরে জোর দিয়ে আসছে যে, গণভোট বৈধ ছিল।

এদিকে মুক্তি পেতে যাওয়া অন্যদের মধ্যে মাদক সংক্রান্ত অপরাধে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিরা এবং এইচআইভির মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত বন্দিও রয়েছেন।

সরকার এখন বন্দিদের নামের তালিকা প্রণয়নসহ পরিকল্পনা চূড়ান্ত করছে। পরিকল্পনা নিয়ে পার্লামেন্টের সঙ্গেও আলোচনা হবে।

ইন্দোনেশিয়ার কারাগারগুলো বেশ জনাকীর্ণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর অন্যতম কারণ হলো কঠোর মাদকদ্রব্য আইনের অধীনে মাদক সম্পর্কিত অপরাধে দোষীদের পুনর্বাসনের পরিবর্তে কারাগারে পাঠানো হয়।

Related Articles

Back to top button