ভারতীয় আধিপত্য বিরোধীদের ভয় দেখাতেই হাদির ওপর হামলা: সারজিস আলম

অনলাইন ডেস্ক: ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানো হয়েছে ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার কণ্ঠগুলোকে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে—এ অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে পঞ্চগড়ের চৌরঙ্গী মোড়ে ছাত্র জনতার বিক্ষোভ মিছিলে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
সারজিস আলম বলেন, “অভ্যুত্থানের আগে ও পরে—দুই সময়েই শরিফ ওসমান হাদি ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সাহসী ভূমিকা রেখেছেন। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিভিন্ন পরিচয়ে সীমান্ত দিয়ে যেসব অনুপ্রবেশ ঘটেছে, তাদের লক্ষ্যই ছিল বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করা।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের সামনে শুধু নির্বাচন নয়; বাংলাদেশের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। যারা দেশকে ধ্বংস করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।”
বিক্ষোভে বক্তৃতা দিতে গিয়ে সারজিস অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের ‘সন্ত্রাসী ও খুনিদের’ গ্রেপ্তারে কাঙ্ক্ষিত পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, “ইন্টারনাল আপোষ আর প্রোটেকশন দিয়ে দেশে শান্তি আসবে না। সারা দেশে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে খুনি, সন্ত্রাসী, তাদের দোসর এবং দেশের বাইরে থেকে যারা ষড়যন্ত্র করছে—সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে।”
শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে তিনি ব্যক্তিগত হামলা হিসেবে না দেখে দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করেন।
তার ভাষায়, “এই বুলেট শুধু হাদির মাথায় নয়—বাংলাদেশের ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো অভ্যুত্থানের বুকেও বিদ্ধ হয়েছে। নির্বাচন বানচালের খেলা শুরু হয়েছে।”
তিনি সতর্ক করে বলেন, “আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না থাকি, সামনে ভুল পথে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।”
বিক্ষোভে জেলা জামায়াতে ইসলামী আমির ইকবাল হোসাইন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।



