খুলনার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

অনলাইন ডেস্ক: চুয়াডাঙ্গার উথলীতে মালবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ৬ ঘণ্টা পর খুলনার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উথলী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মিন্টু কুমার রায়।
তিনি জানান, শুক্রবার (৪ জুলাই) রাত ১১টা ১৫ মিনিটে দিকে পাবনার পাকশী থেকে আসা রিলিফ (উদ্ধারকারী) ট্রেন লাইনচ্যুত বগিগুলো সরিয়ে নিলে পুনরায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে, বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে উথলী রেলস্টেশনের কাছে মালবাহী ট্রেনের গার্ড রেকের এই লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটে। চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে খুলনার সঙ্গে ঢাকা ও উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে চলাচলকারী ট্রেনগুলো বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়ে। পরে উদ্ধারকারী রিফিল ট্রেন দিয়ে দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা ধরে উদ্ধারকাজ করে। উদ্ধারের পর ট্রেন চলাচল সচল হলে চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, খুলনার মোংলাবন্দর থেকে ৩২টি ট্যাংকারভর্তি মোলাসেস (চিটাগুড়) নিয়ে মালবাহী ট্রেনটি সিরাজগঞ্জ যাচ্ছিল। ট্রেনটি চুয়াডাঙ্গার উথলী রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করার আগেই গার্ড রেক লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটে। চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে খুলনা পর্যন্ত ১২৬ কিলোমিটার সিঙ্গেল লাইন হওয়ার কারণে খুলনা থেকে ঢাকা ও উত্তরাঞ্চলগামী এবং উত্তরাঞ্চল ও ঢাকা থেকে খুলনাগামী ট্রেনগুলো বিভিন্ন স্টেশনে থামিয়ে রাখা হয়।
এর মধ্যে খুলনা থেকে রাজশাহীর পথে চলচালকারী আন্তনগর সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ট্রেন ঝিনাইদহের সাবদালপুর, ঢাকা থেকে খুলনাগামী কমিউটার ট্রেন নকশীকাঁথা এক্সপ্রেস চুয়াডাঙ্গায় ও চিলাহাটী থেকে খুলনাগামী মেইল ট্রেন রকেট আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনে আটকা পড়ে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার ইউসুফ পলাশ বলেন, রাত ১১টা ১৫ মিনিটের পর থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। কোনো ট্রেনের সিডিউল বাতিল হয়নি। তবে সময়সূচিতে কিছুটা বিপর্যয় ঘটতে পারে।
তিনি আরও বলেন, খুলনা ও রাজশাহী রুটে চলাচলকারী সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট ফেরতের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। যাত্রীরা টিকিটের টাকা চাইলে ফেরত নিতে পারবেন।