এশিয়া কাপ নিয়ে আশার আলো, কাটছে অনিশ্চয়তা

অনলাইন ডেস্ক: গত এপ্রিলে কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলাকে কেন্দ্র করে সংঘাতে জড়ায় ভারত-পাকিস্তান। যার বিরূপ প্রভাব পড়ছিল ক্রিকেটেও। আন্তর্জাতিক মহাদেশীয় কিংবা আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টেও ভারত-পাকিস্তানের মুখোমুখি হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছিল শঙ্কা। এমনকি আসন্ন এশিয়া কাপ নিয়ে তৈরি হয় অনিশ্চয়তা।
তবে এই দুই দেশের ‘যুদ্ধবিরতির’ পর থেকে বেশ স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে আছে। যদিও এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, তবে এশিয়া কাপ নিয়ে বড় আশার আলো দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসিসির আশা, জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে সভা ডেকে ছয় দলের এশিয়া কাপের সূচি চূড়ান্ত করা যাবে। সব ঠিক থাকলে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে। নির্দিষ্ট করে বললে, ১০ সেপ্টেম্বর টি–টোয়েন্টি সংস্করণের এশিয়া কাপ শুরু হতে পারে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এবারের এশিয়া কাপে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত অংশ নেবে। যদিও প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২৪ এসিসি প্রিমিয়ার কাপের রানার্সআপ ওমান ও তৃতীয় হওয়া হংকংয়েরও টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার কথা। কিন্তু সর্বশেষ খবর, ওমান ও হংকংকে ছাড়াই হয়তো হবে ২০২৫ এশিয়া কাপ।
আসন্ন এশিয়া কাপের মূল আয়োজক হিসেবে এখনো ভারতের নাম থাকলেও ২০২৩ এশিয়া কাপ ও ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মতো এবারের এশিয়া কাপও ‘হাইব্রিড মডেলে’ আয়োজনের আলোচনা চলছে। সে ক্ষেত্রে ভারতের পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাতে টুর্নামেন্ট হতে পারে। গত ডিসেম্বরে বিসিসিআই–পিসিবির মধ্যে একে অপরের দেশে দল না পাঠানোর যে সমঝোতা হয়েছে, তারই ভিত্তিতে এশিয়া কাপে পাকিস্তানের ম্যাচগুলো আমিরাতে সরে যাবে।
এশিয়া কাপে ভারত–পাকিস্তানের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবলই। কারণ, সনি স্পোর্টস নেটওয়ার্ক সম্প্রচার ১৭ কোটি মার্কিন ডলারে (২০৭১ কোটি টাকা) চার আসরের স্বত্ব কেনার সময় এসিসির সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক সমঝোতা হয়েছিল যে প্রতিটি আসরে অন্তত দুটি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থাকবে। দল দুটি যদি ফাইনালে ওঠে, তাহলে তিনবার মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনাও থাকবে।