ইসরায়েল আগ্রাসন বন্ধ করলে হামলা চালাবে না ইরান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাঘচি

অনলাইন ডেস্ক: ইসরায়েল যদি ইরানের ওপর চলমান সামরিক আগ্রাসন বন্ধ করে, তাহলে পাল্টা হামলা চালাবে না তেহরান—এমন বার্তা দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। স্থানীয় সময় সোমবার (২৪ জুন) এক্স (পূর্বের টুইটার)-এ দেওয়া পোস্টে তিনি এই অবস্থান জানান। খবর বিবিসির।
আরাঘচি বলেন, ‘ইসরায়েলকে স্থানীয় সময় ভোর ৪টার মধ্যে তাদের “অবৈধ আগ্রাসন” বন্ধ করতে হবে। যদি তারা থামে, তাহলে আমাদের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া অব্যাহত রাখার কোনো পরিকল্পনা নেই।’ তিনি বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছি, এই যুদ্ধ ইসরায়েল শুরু করেছে, আমরা নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো যুদ্ধবিরতি কিংবা সামরিক অভিযান বন্ধের বিষয়ে চুক্তি হয়নি। তবে ইসরায়েল যদি সময়মতো হামলা বন্ধ করে, তাহলে আমরাও থেমে যাব।’
এর আগেও ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে বলেছিলেন, ‘তেহরানের সার্বভৌমত্বে হামলার জবাবে কাতারে অবস্থিত মার্কিন বিমানঘাঁটি আল উদেইদে পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র যদি আবারও আগ্রাসী পদক্ষেপ নেয়, তাহলে ইরানও জবাব দিতে প্রস্তুত।’
আরাঘচির বক্তব্যে আরও উঠে আসে, ইরান এই মুহূর্তে যুদ্ধকে বাড়াতে চায় না, তবে নিজেদের ‘আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পিছপা হবে না।** তিনি বলেন, “আমরা যুদ্ধ চাই না, তবে আমাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা ও প্রতিক্রিয়ার অধিকার নিশ্চিত করব।’
এই বক্তব্য এমন এক সময় এসেছে, যখন মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাত নতুন মাত্রা পেয়েছে। ইরানের বিভিন্ন পারমাণবিক স্থাপনায় সাম্প্রতিক হামলা এবং তার জবাবে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পররাষ্ট্রনীতিতে আরাঘচির এই বিবৃতি তেহরানের কূটনৈতিক কৌশলের অংশ, যাতে ইরানকে আত্মরক্ষামূলক শক্তি হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে, আবার ভবিষ্যতের সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির জন্য দরজাও খোলা রাখা হচ্ছে।