দ্বীন প্রতিষ্ঠায় ময়দানে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে: জামায়াত আমির

অনলাইন ডেস্ক: দ্বীন প্রতিষ্ঠায় ময়দানে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে বলে জানিয়েছেন জামায়াতে আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, প্রত্যেকের ওপরই জুলুম-নির্যাতন ছিল নিত্যসঙ্গী। মূলত, ইসলামী আন্দোলনের ওপর জুলুম-নির্যাতনের ইতিহাসের ধারাবাহিকতা মাত্র। তাই রক্তচক্ষুকে ভয় পেলে চলবে না। বরং সব বাধা-প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে দ্বীন বিজয়ের জন্য সবাইকে প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

গতকাল শুক্রবার বিকালে রাজধানীর মিরপুর-১৩ এর ৪নং ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে মিরপুর, পল্লবী ও কাফরুল জোন জামায়াত যৌথ আয়োজিত ‘রুকন শিক্ষাশিবির’ ২০২৫-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ মাহফুজুর রহমানের পরিচালনায় শিক্ষাশিবিরে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা পেশ করেন সদ্য কারামুক্ত কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, ইয়াছিন আরাফাত ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মুফতি ড. মাওলানা আবুল কালাম আযাদ বাশার প্রমুখ।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দ্বীন কায়েমের প্রচেষ্টা চালানো ঐচ্ছিক কোনো বিষয়টি নয়; বরং প্রত্যেক মোমিনের ওপরই অত্যাবশ্যকীয় বা ফরজ করে দেওয়া হয়েছে। এটা কোনো অবিশ্বাসী বা কাফিরের ওপর ফরজ করা হয়নি। মূলত, আমাদের জন্য ইসলামকেই জীবনবিধান হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে। আর কালামে হাকিমকে আমাদের জীবন চলার পাথেয় হিসাবে প্রেরণ করা হয়েছে। মূলত, মোত্তাকিদের পথ প্রদর্শনের জন্যই পবিত্র কুরআন জীবন বিধান হিসাবে প্রেরণ করা হয়েছে। আর যারা প্রকৃত পক্ষেই মোস্তাকি তারাই শুধু কুরআন থেকে লাভবান বা উপকৃত হতে পারে। তাই দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তির জন্য আমাদের সবাইকে আল্লাহর বিধান ও রাসূল (সা.)-এর আদর্শের ছায়াতলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে সকলকে ময়দানে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

জামায়াতের আমির বলেন, দেশের ৯০ শতাংশ মানুষই মুসলমান। অন্য ধর্মাবলম্বীরাও আমাদের সমাজেরই অংশ। আমাদের ওপর নামাজ, রোজা, হজ্জ যাকাত যেমন ফরজ, ঠিক তেমনিভাবে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনসহ সব ক্ষেত্রে ইসলাম অনুসরণ করাও ফরজ। মূলত, মোমিন জীবনের দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রেই ইসলাম অনুসরণ করতে হবে। তিনি দেশে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় রুকনসহ ইসলামী আন্দোলনের সব স্তরের নেতাকর্মীকে ময়দানে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।

Related Articles

Back to top button