যুব সমাবেশে আলাল- প্রশাসনে ফ্যাসিবাদের দোসরদের অপসারণ না করলে তালিকা প্রকাশ করবে বিএনপি

অনলাইন ডেস্ক: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশাসনে থাকা ফ্যাসিবাদের দোসরদের অপসারণ না করলে বিএনপি তাদের তালিকা প্রকাশ করবে বলে জানিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। 

সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আমরা জনগণের পাশে আছি বলেই নির্বাচনের কথা বলি। নির্বাচনের কথা বললেই আপনারা (উপদেষ্টা পরিষদ) গোস্সা করেন। গোস্সা করাটা ঠিক নয়। একজন নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে মানুষ যখন-তখন যেতে পারে, যখন-তখন কৈফিয়ত চাইতে পারে। কিন্তু আপনাদের কাছে যাওয়ার সেই সুযোগ নেই। যেটুকু আছে, সেখানেও মাঝখানে দেওয়াল তৈরি করে রেখেছে স্বৈরাচারের দোসররা।

শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘অপরাজেয় বাংলাদেশ’ আয়োজিত যুব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। 

আলাল বলেন, ‘নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। একটা নতুন প্রজন্ম ২০১৪, ১৮ ও ২৪ সালে নিজেদের অধিকার প্রদর্শন করতে পারেনি। তারা মুখিয়ে আছে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য। তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য মূলত আমরা নির্বাচনের কথা বলি।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তর থেকে ফ্যাসিবাদের দোসরদের যদি পরিষ্কার না করেন, বঙ্গভবন থেকে ইউনিয়ন পরিষদ, গণভবন থেকে সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড পর্যন্ত সব জায়গায় ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকা ফ্যাসিবাদের এই দোসরদের তালিকা প্রকাশ করে দেব। সেই তালিকা জনসম্মুখে সাংবাদিকদের দেব। দেওয়ালে দেওয়ালে টাঙিয়ে দেব সারা দেশে। কারা ফ্যাসিবাদের দোসর, কারা এখনো ঘাপটি মেরে দুর্নীতি করছেন, মানুষকে অধিকারবঞ্চিত করছেন এবং যেখানে খুশি সেখানে ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন। সুতরাং সাবধান হয়ে যান। আমাদের যেন সেই শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে না হয়।’ 

সরকারকে উদ্দেশ করে আলাল আরও বলেন, ‘১০ মাস শেষ হওয়ার পথে। আপনারা এখনো তেমন কিছু জনগণকে দেখাতে পারেননি। পদে পদে মানুষকে হতাশ করেছেন। জিনিসপত্রের দাম কমেনি, গ্যাসের সংকট অনেক বেশি হয়েছে, বিদ্যুতে লোডশেডিং বেড়েছে, পানি সরবরাহ আগের মতো সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন নেই। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আপনারা ত্রুটি করেছেন। ডেঙ্গু, করোনা, চিকুনগুনিয়া ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। কোথায় আপনাদের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা। কোথায় তার কর্মতৎপরতা। বাজারে গেলে মানুষ তার পকেটে হাত দিতে পারে না। মনে হয়, পকেট ছিদ্র হয়ে সবকিছু পড়ে গেছে।’

আয়োজক সংগঠনের সহসভাপতি এমএ আজাদ চয়নের সভাপতিত্বে যুব সমাবেশে আর বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর, জাহিদ হোসেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।

Related Articles

Back to top button