জাতীয় ঐক্যের প্রতিচ্ছবি, সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের নৈশভোজে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও শীর্ষ নেতারা

অনলাইন ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে শুক্রবার রাতে একটি উচ্চপর্যায়ের নৈশভোজের আয়োজন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির। যেখানে দেশের রাজনৈতিক ও সামরিক শীর্ষ নেতৃত্ব একত্রিত হয়ে একজোট জাতির ঐক্য, সাহসিকতা এবং কৌশলগত সাফল্য উদযাপন করেন।

মারকা-এ-হক এবং অপারেশন বুনয়ানুম মারসুস-এর সফল সমাপ্তিকে কেন্দ্র করে আয়োজিত এই নৈশভোজে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার, চিফ অব জয়েন্ট স্টাফ কমিটি, বিমান ও নৌবাহিনী প্রধান, চার মুখ্যমন্ত্রী, গভর্নরগণ, সংসদীয় নেতৃত্বসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা।

নৈশভোজে বক্তারা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত সামরিক অভিযানের সফলতা এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকার প্রশংসা করেন। তারা বলেন, জাতীয় সংকটময় মুহূর্তে দেশের সর্বস্তরের নেতৃত্ব, সশস্ত্র বাহিনী, নাগরিক সমাজ, মিডিয়া এবং তরুণ প্রজন্ম একত্রিত হয়ে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব, মর্যাদা ও নিরাপত্তা রক্ষায় এক অবিচল ভূমিকা রেখেছে।

সেনাপ্রধান আসিম মুনির তার বক্তব্যে রাজনৈতিক নেতৃত্বের কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি ও আন্তঃবাহিনী সমন্বয়ের প্রশংসা করে বলেন, এই সাফল্য শুধু সামরিক নয়, এটি পুরো জাতির সম্মিলিত চেতনার প্রতিফলন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের যুবসমাজ ও গণমাধ্যম ভারতীয় মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে এক ইস্পাতকঠিন দেয়াল তৈরি করেছে—যা আজকের পাকিস্তানের আত্মবিশ্বাসের প্রতীক।

তিনি পাকিস্তানি বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী ও কূটনীতিকদের ভূমিকাও বিশেষভাবে তুলে ধরেন, যারা পেছনের সারিতে থেকেও সংকটকালে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজ জানিয়েছে, অনুষ্ঠানটি ছিল একটি প্রতীকী মুহূর্ত—যেখানে জাতীয় ঐক্যের, সম্মিলিত সাহসিকতার এবং অটুট দেশপ্রেমের প্রকাশ ঘটেছে। রাজনৈতিক মতপার্থক্য পেছনে ফেলে রাষ্ট্রের সকল স্তরের নেতৃত্ব এক টেবিলে বসে প্রমাণ করেছে, যখন জাতির অস্তিত্ব হুমকির মুখে, তখন পাকিস্তান এক ও অবিচ্ছেদ্য।

Related Articles

Back to top button