জামাইয়ের সন্ধানে শাশুড়ির পুরস্কার

অনলাইন ডেস্ক: মেয়ে ও এক বছরের নাতনিকে রেখে পালিয়েছে জামাই। যাওয়ার সময় জুয়েলারি দোকানের ৬০ ভরি রুপা ও অপর এক মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে গেছে জামাই। এখন ছেলেকে গুম করার অভিযোগে থানায় গেছে জামাইয়ের মা, আর হারানো রুপা ফিরিয়ে দিতে উপর্যুপরি চাপ দিচ্ছেন জুয়েলার্সের মালিক। সব মিলিয়ে দিশেহারা অবস্থা শাশুড়ির।
তাই বাধ্য হয়ে প্রতারক জামাইয়ের সন্ধান পেতে রীতিমতো পুরস্কার ঘোষণা করেছেন তিনি।
শুক্রবার এ ঘটনা ঘটেছে বড়াইগ্রামে।
প্রতারক মেয়ে জামাইয়ের সন্ধান পেতে উপজেলার জোনাইল বাজারে প্রকাশ্যে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন শাশুড়ি আনোয়ারা বেগম। প্রতারক ওই জামাইয়ের নাম সিয়াম হোসেন। পাবনার চাটমোহর উপজেলার দোলন গ্রামের কিরণ আলীর ছেলে সিয়াম।
আনোয়ারা জোনাইল বাজারের জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী। এর আগে আনোয়ারার মেয়ে আলো খাতুন বড়াইগ্রাম থানায় স্বামী সিয়াম হোসেনের নামে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
আনোয়ারা বেগম বলেন, চার বছর আগে আমার মেয়ে আলো খাতুনের সঙ্গে সিয়াম হোসেনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সিনথিয়া খাতুন নামের কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই মেয়ে ও জামাই জোনাইল বাজারের আহসানের জুয়েলারি দোকানে কাজ করত। গত রমজান মাসে সে জুয়েলারির দোকান থেকে ৬০ ভরি রুপা নিয়ে পালিয়ে যায়।
এদিকে, সিয়ামের মা তার ছেলেকে গুম করা হয়েছে মর্মে আমার (আনোয়ারা) ও জুয়েলারি দোকান মালিক আহসানের নামে থানায় অভিযোগ করেছেন।
প্রতারক সিয়ামের মা রওশনা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে গুম করে এখন নাটক করছেন বিয়াইন (আনোয়ারা)। দ্রুত আমার ছেলের সন্ধান দিতে হবে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।