রাজস্বখাতে অটোমেশন নিয়ে টিআইবি, দাতাদের অন্ধ অনুসরণ নয়, জোর দিতে হবে দেশীয় প্রযুক্তিতে

অনলাইন ডেস্ক: রাজস্ব ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নে অটোমেশন লাগবে। সেক্ষেত্রে নতুন প্রকল্প গ্রহণে অন্ধের মতো দাতা সংস্থার পরামর্শ অনুসরণ নয়, দেশজ প্রযুক্তি-সক্ষমতা ও সম্ভাবনার ওপর সর্বোচ্চ জোর দিতে হবে। দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এক বিবৃতিতে বুধবার এসব কথা বলেছে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, রাজস্ব আদায় বাড়ানো এবং সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনতে ডিজিটাইজেশন ও অটোমেশনে এর আগেও কয়েকদফা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা কাজে আসেনি। এসব প্রকল্প কেন উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারল না তার কারণ অনুসন্ধান করতে হবে। কিন্তু তা না করে আবারও বিপুল অঙ্কের অর্থ খরচের প্রকল্প নিতে যাচ্ছে সরকার।
বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আয়কর আদায় বাড়াতে ও করফাঁকি রোধে রাজস্ব বোর্ড বিশ্বব্যাংকের সহায়তায়, প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের পরিকল্পনা করছে সরকার। কিন্তু গত দেড় দশকে রাজস্ব আদায়-প্রক্রিয়া ডিজিটাইজেশন ও অটোমেশনের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ বাড়াতে অন্তত তিনটি বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বাস্তবে এর কোনো সুফল মেলেনি।
তিনি বলেন, ‘আগে এসব প্রকল্প যে উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারেনি, তার বড় প্রমাণ, নতুন করে বিশ্বব্যাংকের ঋণনির্ভর হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণের প্রয়াস। কারণ আয়কর রিটার্ন দাখিল বা ভ্যাট আদায়-প্রক্রিয়া এখনো অনলাইন করা যায়নি। কাগুজে পদ্ধতিই এখনো রাজস্ব আদায়ের বড় ভরসা। হয়রানি ও দুর্নীতি কমেনি। চালান জালিয়াতি নিয়ন্ত্রিত হয়নি, করফাঁকি আর অর্থপাচার নিয়ন্ত্রিত হয়নি। দেশের কর জিডিপির অনুপাতও বাড়েনি বরং কমেছে।