আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলায় আরও ১১ আসামি গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক: চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আরও ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পু্লিশ।

গতকাল রোববার (২৭ জানুয়ারি) নগরীর একাধিক জায়গা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে রাতে চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে তোলা হয় আসামিদের।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারি পিপি মোহাম্মদ রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া একাধিক আসামির স্বীকারোক্তিতে এদের নাম এসেছে।

গ্রেপ্তার ১১ জন হলেন, প্রেমনন্দন দাশ বুজা (১৯), রনব দাশ (২৪), বিধান দাশ (২৯), বিকাশ দাশ (২৪), রুমিত দাশ (৩০), রাজ কাপুর (৫৫), সামির দাশ (২৫), শিব কুমার দাশ (২৩), ওম দাশ (২৬), অজয় দাশ (৩০) ও দেবী চরণ (৩৬)। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত এই মামলার এজাহারে নাম থাকা ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীর জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ করে সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন।

আড়াই ঘণ্টা পর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে চিন্ময় দাশকে কারাগারে নিয়ে যায়। বিক্ষোভকারীরা আদালত সড়কে রাখা বেশ কিছু মোটরসাইকেল ও যানবাহন ভাঙচুর করে। পরে রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় ২৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানায় আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন হত্যা মামলা করেন। মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫ থেকে ১৬ জনকে আসামি করা হয়।

আইনজীবীদের ওপর হামলা, বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন আলিফের ভাই খানে আলম, যেখানে আসামি করা হয় ১১৬ জনকে।
এর বাইরে আদালত এলাকায় সংঘর্ষ, ভাংচুর ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। এসব মামলায় ৭৬ জনের নামসহ অজ্ঞাত ১ হাজার ৪০০ জনকে আসামি করা হয়।

আদালত এলাকায় সহিংসতার ঘটনায় সবশেষ ৩ ডিসেম্বর মোহাম্মদ উল্লাহ নামের এক ব্যক্তি ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২৯ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন।

চট্টগ্রাম সারাদেশ আইন আদালত চিন্ময় কৃষ্ণ দাস

Related Articles

Back to top button