২০ হাজার বাংলাদেশির অংশগ্রহণে পর্তুগালে বিজয় উৎসব
অনলাইন ডেস্ক: প্রথমবারের মতো পর্তুগালে বাংলাদেশ কমিউনিটির উদ্যোগে বৃহৎ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো মহান বিজয় দিবস উৎসব। প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশির অংশগ্রহণে দিনব্যাপী নৃত্য, গান, কবিতা আবৃতি ও নানা স্টলে নানা রককম আয়োজন ছিল উৎসবে।
স্থানীয় সময় রোববার সকাল ১১টায় পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের মার্তিম মনিজ পার্কে এ বিজয় উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। জুন্তা ফ্রিগেসিয়া সান্তা মারিয়া মাইওর এর প্রেসিডেন্ট ড. মিগেল কোয়েলু বিজয় মেলার উদ্বোধন করেন। দুপুর ২টায় পর্তুগালের রাজনৈতিক ও সামাজিক ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন রনি হোসাইন ও আব্দুল হাকিম মিনহাজ। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিজয় উদযাপন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক রানা তাসলিম উদ্দিন।
জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়। এ সময় পর্তুগালের লিসবন মিউনিসিপ্যাল এসেম্বলি মেম্বার ও সোশ্যালিস্ট পার্টি নেতা অ্যাডভোকেট ড. জোসে লেইতাও, জুন্তা ফ্রেগেসিয়া আল্কান্তারার প্রেসিডেন্ট ড্যাভিড আমাদোসহ বিভিন্ন পর্তুগিজ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে আসেন। পর্তুগালের প্রবীণ কমিউনিটি নেতা রানা তাসলিম উদ্দিন ও কমিটির অন্যরা তাদেরকে উত্তরীয় পরিয়ে সম্মাননা প্রদান করেন।
দ্বিতীয় পর্বে মূল আকর্ষণ ছিল সোনা পাখি খ্যাত শিল্পী ওয়াহিদের আয়োজন। যা দর্শকদের মাতিয়ে তোলে এবং বিজয় দিবসের উৎসবকে প্রাণবন্ত করে তোলে। এর পাশাপাশি পর্তুগালের স্থানীয় শিল্পীরাও বাংলা গানে দর্শকদের মাতিয়ে তোলেন। পর্তুগিজরা বাংলাদেশের মনোমুগ্ধকর এ বিজয় উৎসবে আনন্দিত হন। তারা মেলার বিভিন্ন স্টোল ঘুরে দেখেন এবং বাঙ্গালীদের খাবারের স্বাদ গ্রহণ করেন। তারা বাঙালিদের আয়োজন প্রতি বছর করার জন্য সব সুযোগ সুবিধা দেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জুন্তা ফ্রিগেসিয়া সান্তা মারিয়া মাইওর এর প্রেসিডেন্ট ড. মিগেল কোয়েলু বলেন, বাংলাদেশিরা তাদের স্বাধীনতার মাসে সুন্দরভাবে বিজয় উৎসব আয়োজন করছে। আমরা সঙ্গে থাকতে পেয়ে আনন্দিত।
কমিউনিটি নেতা ও উদযাপন কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রানা তাসলিম উদ্দিন। তিনি বলেন, পর্তুগালের ইতিহাসে বাংলাদেশের কমিউনিটির এটাই সবচেয়ে বড় আয়োজন। আমি পর্তুগালের প্রথম পাঁচ জনের একজন প্রবাসী। সে হিসেবে বলতে পারিসে হিসেবে বলতে পারি পর্তুগালে এত বড় আয়োজন আজ পর্যন্ত হয়নি। এ আয়োজন প্রতিবছর আমার উত্তরীয় তরুণরা পালন করবে বলে আমি মনে করি। যা বাংলাদেশকে সারা বিশ্বের মাঝে ইতিবাচকভাবে ফুটিয়ে তুলবে।
মেলায় ৪০টি স্টলে বাংলাদেশি মানুষজন দেশীয় বিভিন্ন কৃষ্টি-সংস্কৃতি তুলে ধরার পাশাপাশি বিভিন্ন পিঠা, হস্তশিল্প ও বাংলাদেশি পণ্যের সমারোহ নিয়ে হাজির হন।