অটোরিকশা-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২

অনলাইন ডেস্ক: লক্ষ্মীপুর সদরে পৃথক সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় আরও ৯ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিফাত ও তামিম নামে দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন- উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের মনসুর আহমেদের ছেলে পিয়াস আহমেদ (১৭) ও লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাঞ্চানগর এলাকার বাসিন্দা ফরহাদ হোসেন (২৩)।

জানা গেছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের বাসুবাজার এলাকায় লক্ষ্মীপুর-রামগঞ্জ সড়কে মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে পিয়াস মারা যায়। এতে সিফাত, তামিম, সাব্বির ও জাহেদসহ ৫ জন আহত হয়। এরমধ্যে সিফাত ও তামিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, মোটরসাইকেলযোগে পিয়াস কালিবাজার থেকে বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। ঘটনাস্থলে পৌঁছলে মোটরসাইকেল-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অটোরিকশা-মোটরসাইকেল দুমড়ে-মুচড়ে যায়। দুর্ঘটনায় আহত অবস্থায় পিয়াসসহ ৬ জনকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। হাসপাতালে নিলে পিয়াসকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত সিফাত নামে একজনসহ দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অন্যদেরকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

একইদিন বিকালে সদর উপজেলার পিয়ারাপুর এলাকায় লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ফরহাদ হোসেন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ৪ জন আহত হয়।

সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. কমলাশীষ রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হাসপাতাল আনার আগেই পিয়াস নামে একজন মারা গেছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিফাত ও তামিম নামে দুইজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিদের হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিকালেও একটি সড়ক দুর্ঘটনায় একজন মারা গেছে। আহত হয়েছেন ৪ জন।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল মোন্নাফ বলেন, পৃথক ঘটনায় দুইজন মারা গেছেন। সূত্র: দৈনিক যুগান্তর

Related Articles

Back to top button