বার কাউন্সিল সনদ নিয়ে বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ

অনলাইন ডেস্ক: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় আদালত অবমাননার অভিযোগের ব্যাখ্যা শুনতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফজলুর রহমানকে সশরীরে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। সেদিন ফজলুর রহমানকে একাডেমিক সার্টিফিকেট ও বার কাউন্সিলের সার্টিফিকেটসহ সশরীরে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
প্রসিকিউশনের আবেদনের শুনানি নিয়ে রবিবার (৩০ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। অন্য সদস্য হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। তার সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম।
গত ২৬ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তোলে প্রসিকিউশন। ওইদিন ট্রাইব্যুনাল-১ এর সদস্য অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন একক বেঞ্চে এ অভিযোগ করা হয়। তবে ট্রাইব্যুনাল রবিবার শুনানির দিন ধার্য করেন।
প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম ও প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।
সেদিন শুনানিকালে প্রসিকিউশন থেকে বলা হয়, গত ২৩ নভেম্বর একটি বেসরকারি টেলিভিশনে টকশোতে অতিথি হিসেবে যান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফজলুর রহমান। ওই অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার নিয়ে নানা মন্তব্য করেন; যা আদালত অবমাননার শামিল।
ফজলুর রহমানের আর কোনও পরিচয় আছে কিনা জানতে চান ট্রাইব্যুনাল। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি প্রার্থী বলে জানান প্রসিকিউটর তামিম। একইসঙ্গে জুলাই বিপ্লব নিয়ে আগে এমন বিরূপ মন্তব্য করার কারণে তার বিএনপির পদটি স্থগিত রাখা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়। পরে কোন আইনে অবমাননা করেছেন তা পড়েন প্রসিকিউটর তামিম।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা(স্থগিতাদেশ) অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান
এ সময় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ওই টকশোতে ট্রাইব্যুনাল নিয়ে মন্তব্য করা ফজলুর রহমানের কথাগুলো বাজিয়ে শোনানো হয়। পরে অবশিষ্ট শুনানির জন্য নতুন দিন ঠিক করেন ট্রাইব্যুনাল।
পরে এ বিষয়ে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে আমরা আদালত অবমাননার একটি অভিযোগ এনেছি। তিনি এই ট্রাইব্যুনালের বিচার মানেন না বলে মন্তব্য করেছেন; যা শুরু থেকেই বলে আসছেন বলে জানিয়েছেন ওই টকশোতে। এখানে শেখ হাসিনার বিচার হতে পারে না এমন কথাও বলেছেন। একইসঙ্গে বর্তমান ট্রাইব্যুনালের সব বিচার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অর্থাৎ অবজ্ঞা ও অবহেলা করেছেন। এছাড়া প্রসিকিউশন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তার এসব কথা একটি বিচারালয়ের জন্য বা বিচারকদের প্রতি অবমাননা করে।




