মাছ খাওয়ায় বিড়ালের গলা কেটে হত্যা, থানায় জিডি

অনলাইন ডেস্ক: বগুড়ার আদমদীঘিতে মাছ খাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বিড়ালের গলা কেটে হত্যার ঘটনায় এক নারীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনাটি উপজেলার নসরতপুর ইউপির দত্তবাড়ীয়া গুচ্ছগ্রামে ঘটে।

গতকাল বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য এমরান হোসেন বাদী হয়ে ওই নারীর বিরুদ্ধে আদমদীঘি থানায় একটি জিডি করেন।

অভিযোগে জানা যায়, কয়েকদিন আগে উপজেলার দত্তবাড়ীয়া গুচ্ছগ্রামের খোকার মেয়ে বুলবুলির (২৬) বাড়িতে একটি বিড়াল গিয়ে একটি মাছ খেয়ে ফেলে।

গত মঙ্গলবার দুপুরে ওই বিড়ালটি আবারও তার বাড়িতে আসলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ধরে ফেলেন। এরপর বিড়ালটিকে বঁটি দিয়ে গলা কেটে হত্যা এবং বুক চিড়ে নাড়ি-ভুঁড়ি বের করে বাড়ির পাশের একটি ধান ক্ষেতে ফেলে দেন।

বিষয়টি জানার পর প্রতিবেশী শামছুন্নাহার মিনা বিড়ালটির মরদেহ তার বাড়িতে নিয়ে এসে সাদা ককশিটের ভেতর বরফ দিয়ে সংরক্ষণ করে পুলিশে খবর দেন।

প্রতিবেশী শামছুন্নাহার মিনার স্বামী ইসাহাক বলেন, একমাস আগে তিনি শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন। সঙ্গে তার ৬টি পোষা বিড়ালও নিয়ে আসেন। যে বিড়ালটিকে হত্যা করা হয়েছে, সে বিড়ালটি তার বিড়ালগুলোর সঙ্গেই থাকত। হঠাৎ সোমবার বিড়ালটিকে বুলবুলি নামের ওই নারী ক্ষিপ্ত হয়ে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেন। এরপরই তিনি বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনে বিষয়টি জানান।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিড়ালটির গলা কেটে হত্যা পর ফেলে রাখার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে অনেকে ক্ষোভ, ঘৃণা ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

বাংলাদেশের আইনে প্রাণীর প্রতি নির্দয় আচরণ বা সহায়তার অপরাধে দুই বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। কিন্তু এই আইনের তেমন একটা ব্যবহার দেখা যায় না। এমনকি এই আইনে দায়ের হওয়া মামলাও খুব একটা নেই। তবে আদমদীঘির এই নৃশংস ঘটনায় এরই মধ্যে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়েছি। এরপর বিড়ালটির মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বেনজির আহমেদ জানান, বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। বিড়ালটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Related Articles

Back to top button