প্রশ্নবিদ্ধ মেট্রোর রক্ষণাবেক্ষণ

  • আবারও খসে পড়ল বিয়ারিং প্যাড, এবার পথচারীর মৃত্যু  
  • তদন্তে উচ্চক্ষমতার কমিটি, নিহতের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা সহায়তা

অনলাইন ডেস্ক: মেট্রোরেলের মতো মেগা প্রজেক্টের রক্ষণাবেক্ষণও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। গতকাল রোববার দ্বিতীয় বারের মতো ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খসে পড়েছে। এতে আবুল কালাম (৩৬) নামে একজন পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে একই এলাকায় আরও একবার বিয়ারিং প্যাড খসে পড়েছিল। তবে সেবার কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তখন ফার্মগেটে ৪৩০ নম্বর পিলারের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছিল। গতকাল ৪৩৩ নম্বর পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছে, যা ফার্মগেট স্টেশনের ঠিক পশ্চিম পাশে।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দুর্ঘটনার পর মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে বিপাকে পড়েন হাজার হাজার মানুষ। সড়কপথে সবাই গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টার কারণে মিরপুর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে সন্ধ্যায় উত্তরা থেকে আগারগাঁও এবং মতিঝিল থেকে শাহবাগ পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল শুরু হলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এআরআই) সাবেক পরিচালক ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. মো. সামছুল হক বলেন, এখানে অবশ্যই নির্মাণত্রুটি আছে। কনসালট্যান্টকে এর জন্য দায়বদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি মেট্রোরেলের চলাচলের কারণে কম্পনজনিত ভার তৈরি হয়। এটা তো যে কোনো প্রকৌশলীর জানার কথা। এর জন্য যেখানে নাট-বল্টু থাকে সেগুলো নিয়মিত পরীক্ষা করতে হয়। কিন্তু মেট্রোরেলের পিলারের ওপর তো বিয়ারিং প্যাড দেওয়া হয়েছে। তা যাতে নিচে না পড়ে যায়, সেই ব্যবস্থা থাকা দরকার ছিল।

ভায়াডাক্টের বিয়ারিং প্যাড নিয়ে নির্মাণের সময়ই প্রশ্ন উঠেছিল। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে এ ব্যাপারে আপত্তিও জানানো হয়েছিল। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। কিন্তু তখন অদৃশ্য কারণে কেউ তাতে কর্ণপাত করেনি। শেষ পর্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ বিয়ারিং প্যাডই বসানো হয়।

ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, কেন বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ল, তা তদন্ত করা হবে। কার দায়িত্বে অবহেলা আছে, তাও বের করা হবে। নকশায় ত্রুটি থাকার বিষয়টিও নাকচ করছি না।

মেট্রোরেলে ব্যবহারের আগে বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগে এসব বিয়ারিং প্যাডের কারিগরি মান পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় দেখা যায়, একাধিক বিয়ারিং প্যাডের মান যথাযথ নয়। ঐ সময় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের এক সভায়ও বিষয়টি উঠে আসে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনেও এসেছে, বুয়েটের ল্যাবে পরীক্ষায় উত্তরা-আগারগাঁও অংশের দুটি প্যাকেজের জন্য আমদানি করা বিয়ারিং প্যাডের মান যথাযথ নয় বলে দেখা যায়। এসব বিয়ারিং প্যাড সরবরাহ করেছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইতাল-থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি। সেসময় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছিল, মেট্রোরেল প্রকল্পে নিম্নমানের বিয়ারিং প্যাড সরবরাহের ঘটনাটি ঘটেছিল উত্তরা-আগারগাঁও অংশের প্যাকেজ ৩ ও ৪-এর নির্মাণকাজে। মেট্রোরেলের উত্তরা-আগারগাঁও অংশের দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ কিলোমিটার। যখন অভিযোগ উঠে তত দিনে পিয়ার ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বিয়ারিং প্যাড বসিয়ে প্রায় আট কিলোমিটার উড়ালপথ বসানো হয়ে গেছে। কিন্তু পরে সেগুলো পরিবর্তন করা হয়নি।

বিয়ারিং প্যাডের কারিগরি মান বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারার বিষয়টি উঠে আসার পর বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, মেট্রোরেলের গুরুত্বপূর্ণ এ উপকরণ মানহীন হলে তা গোটা অবকাঠামোটিকেই ঝুঁকির মুখে ফেলবে।

বিয়ারিং প্যাড কি?:মেট্রোরেলের উড়ালপথটি কংক্রিটের তৈরি, যা ৩০ থেকে ৪০ মিটার লম্বা একেকটি স্প্যান জোড়া দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। যেহেতু ভায়াডাক্ট ও পিলার দুটিই কংক্রিটের তৈরি, তাই দুটি কংক্রিটের বস্তুর একটির ওপর আরেকটি স্থাপন করলে ঘর্ষণজনিত সমস্যা হতে পারে। হতে পারে ক্ষয়, ঘটতে পারে স্থানচ্যুতিও। এ জন্যই ভায়াডাক্ট ও পিলারের মাঝখানে রাবার ও স্টিলের তৈরি বিয়ারিং প্যাড দেওয়া হয়, যা স্থাপনাটির সুরক্ষায় কাজ করে। ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। কোম্পানির সূত্র বলছে, দুই পিলারের মাঝখানের প্রতিটি স্প্যানের জন্য চারটি করে বিয়ারিং প্যাড রয়েছে। এগুলোর স্তরে স্তরে রাবার ও বিশেষ স্টিল দিয়ে তৈরি। ১৪০ থেকে ১৫০ কেজির এই কাঠামো (বিয়ারিং প্যাড)। মেট্রোরেলের উড়ালপথে গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ এই প্যাড।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশেষ ধরনের রাবার দিয়ে তৈরি এ প্যাড বসাতে হয় পিলার ও ভায়াডাক্টের (উড়ালপথ) সংযোগস্থলে। অন্য সব উড়াল পথের মতো মেট্রোরেল প্রকল্পেও এটি ব্যবহার করা হয়। এটি বিশেষ ধরনের রাবার বা ইলাস্টোমেরিক পদার্থ দিয়ে তৈরি। এটি সেতুর কাঠামোগত উপাদানগুলোর মধ্যে একটি কুশন বা কোমল সংযোগস্থল হিসেবে কাজ করে। বিয়ারিং প্যাডের মূল কাজ কেবল ভার বহন করা নয়, বরং জটিল প্রকৌশলগত চাপ সামলানো। এটি ট্রেন চলাচলের সময় সৃষ্ট বিপুল উল্লম্ব চাপ শোষণ করে এবং চাপটিকে সরাসরি কোনো একটি নির্দিষ্ট পিলারে কেন্দ্রীভূত না করে পুরো পিলারের মাধ্যমে সমানভাবে ভিত্তি বা মাটির দিকে ছড়িয়ে দেয়। স্থিতিস্থাপকতার গুণে ভায়াডাক্টের অনুভূমিক সরণ বা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে এটি।

কেন খুলে পড়ল বিয়ারিং প্যাড :বিয়ারিং প্যাড কেন নিচে পড়ে গেল, তা সবার কাছেই বড় প্রশ্ন। কারণ এ ধরনের ঘটনা মেট্রোরেলের ইতিহাসে অনেকটা বিরল বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। গত বছর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছিল। ঘটনা তদন্তে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। এর পেছনে নকশাগত ত্রুটি থাকতে পারে বলে মনে করেন ডিএমটিসিএলের কর্মকর্তারা। মেট্রোরেলের লাইনসহ যাবতীয় নকশা প্রণয়নের দায়িত্বে ছিল জাপানের কয়েকটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের জোট এনকেডিএম অ্যাসোসিয়েশন।

এ ব্যাপারে অধ্যাপক সামছুল হক বলেন, বিয়ারিং প্যাডটি বসানো হয়েছে মেট্রোর নিরাপদ চলাচল ও স্থাপনার স্থায়িত্ব ধরে রাখতে। কিন্তু এই ব্যবস্থা নিচে পড়ে মানুষ মারা গেলে তো বলতে হবে এর নকশাগত ত্রুটি থাকতে পারে। মেট্রোরেলের জন্য সবচেয়ে দামি জাপানি পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাহলে তাদের নকশায় কী কোনো ত্রুটি ছিল? তিনি বলেন, বাঁক ও উঁচু হওয়া প্রকৌশলগত চ্যালেঞ্জের বিষয়। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য নকশা করা হয় এবং বাড়তি খরচ করতে হয়। মেট্রোরেলেও তা হয়েছে। এরপরও কেন নিরাপত্তাঝুঁকি থাকবে? এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি আরও বলেন, জাপানের সব স্থাপনায় ‘সিক্স সিগমা কমপ্লায়েন্স’ মেনে চলা হয়। অর্থাৎ প্রকৌশগত স্থাপনায় ১০ লাখের মধ্যে একটা ভুল হতে পারে। সেই জাপানি প্রযুক্তি, পরামর্শক এবং ঠিকাদারের মাধ্যমে করা মেট্রোরেলে একাধিকবার কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটে?

প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৪ লাখ যাত্রী যাতায়াত করেন মেট্রোরেলে। গুরুত্বপূর্ণ এই গণপরিবহন বন্ধ থাকলে ঢাকার যানজট যেমন বাড়ে, তেমনি ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। গত বছর বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ার পর মেট্রোরেল চলাচল ১১ ঘণ্টা বন্ধ ছিল। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় বন্ধ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর আগারগাঁও থেকে উত্তরা এবং মতিঝিল থেকে শাহবাগ পর্যন্ত চলাচল শুরু হলেও মাঝের তিনটি স্টেশন কখন চালু হবে, তা বলতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘক্ষণ মেট্রোরেল বন্ধ থাকার কারণে রাজধানীতে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়।

তদন্তে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি: ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলারের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারী নিহতের ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি সরকার নিহত পথচারীর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে তাত্ক্ষণিক ৫ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে। তার দাফন-কাফনের সব খরচও সরকার বহন করবে। এছাড়া তার পরিবারে কর্মক্ষম কোনো ব্যক্তি থাকলে তাকে মেট্রোরেলে চাকরির ব্যবস্থা করা হবে।

পাঁচ সদস্যের এই তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ। কমিটিতে কারিগরি ও প্রকৌশলগত পর্যালোচনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং সামরিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট (এমআইএসটি)-এর বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এ বি এম তৌফিক হাসান, এমআইএসটি-এর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জাহিদুল ইসলাম এবং ডিএমটিসিএল-এর লাইন-৫ প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব। উপ-সচিব আসফিয়া সুলতানা কমিটিতে সদস্যসচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।

কমিটি আগে সংঘটিত দুর্ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধকল্পে প্রয়োজনীয় সুপারিশমালা প্রস্তুত এবং দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করবে। কমিটিকে আগামী ২ (দুই) সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পেশ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পরপরই সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজসহ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং ডিএমটিসিএলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

মেট্রোরেল চলাচল আংশিক শুরু : বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে যুবকের মৃত্যুর পর গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে আড়াই ঘণ্টা মেট্রোরেল চলাচল পুরো বন্ধ ছিল। পরে বিকাল ৩টায় আগারগাঁও থেকে উত্তরা পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়। গতকাল বিকাল পৌনে ৪টায় মেট্রোরেল পরিচালনাকারী সংস্থা ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিকাল ৩টা থেকে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল সেবা চালু করা হয়েছে। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল সেবা দ্রুত চালু করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পরে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে মতিঝিল থেকে শাহবাগ পর্যন্ত চালু হয়।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশে প্রথম মেট্রোরেল চালু হয়। শুরুতে চলাচল করত উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত। পর্যায়ক্রমে স্টেশনের সংখ্যা বাড়ে। মতিঝিল পর্যন্ত সব স্টেশনে যাত্রী ওঠানামা শুরু হয় ২০২৩ সালের শেষ দিনে। এখন কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল সমপ্রসারণের কাজ চলছে।

২০১২ সালে অনুমোদনের সময় মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যয় ছিল ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। বর্তমানে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। মেট্রোরেল প্রকল্পের জন্য জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) কাছ থেকে ১৯ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে। প্রতি কিলোমিটার মেট্রোরেলের পথ নির্মাণে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। যা আশপাশের দেশের তুলনায় অনেক বেশি।

Related Articles

Back to top button