দুর্নীতি করলে উপদেষ্টাদেরও বিচার হবে: অলি আহমদ

অনলাইন ডেস্ক: অন্তর্বর্তী সরকারের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টার সমালোচনা করে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেন, ‘এখন অনেক উপদেষ্টা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হয়েছেন। এটা বিএনপি থেকে বলেছে, তাদের কাছে খতিয়ান আছে।’

সম্প্রতি বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) উপদেষ্টা পরিষদের কোনো কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের প্রতি পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছে। তবে সরকারের কোন কোন উপদেষ্টার বিষয়ে আপত্তি আছে, তা কোনো রাজনৈতিক দলই প্রকাশ্যে বলেনি। তবে এতে অস্বস্তিতে পড়েছেন উপদেষ্টাদের কেউ কেউ।

এবার অলি আহমদ বলেন, উপদেষ্টারা যদি মনে করেন তারা বিচারের ঊর্ধ্বে, তা ভুল। তাদেরও বিচার হবে। অন্তর্বর্তী সরকার এনজিওদের নিয়ে গঠিত উল্লেখ করে অলি আহমদ বলেন, যাদের সরকার পরিচালনা করার ন্যূনতম কোনো যোগ্যতা নেই।

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন অলি আহমদ। আজ রোববার বেলা তিনটায় রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে দলটি।

দেশের রাজনীতিবিদের দুর্নীতি এবং দূরদর্শিতার অভাবে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে উল্লেখ করে অলি আহমদ বলেন, ‘হাসিনা “র”-এর সাহায্যে, ভারত সরকারের সাহায্যে সরকার গঠন করে। একজন রাজনীতিবিদকে বুঝতে হবে আগামী মাসে কী হবে, ছয় মাস পর কী হবে, দুই বছর পর কী হবে? যদি না বুঝতে পারে, তার দ্বারা রাজনীতি হবে না। তার দ্বারা হবে চাঁদাবাজি।’

শেখ হাসিনার সমালোচনা করে অলি আহমদ বলেন, ‘জনগণের ওপর আস্থা ছিল না… আজ তাঁকে (শেখ হাসিনা) কে আশ্রয় দিয়েছে? ভারত আশ্রয় দিয়েছে। ভারত তাহলে আমাদের বন্ধু কী করে হতে পারে? যারা বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে লুণ্ঠন করেছে। বাংলাদেশের মানুষকে ভিক্ষুকে পরিণত করেছে। দেশটাতে আইনের শাসন নাই, ন্যায়বিচার নাই, লুটপাটের দেশ হিসেবে পরিণত করেছে।’

বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নেওয়া রাজনীতিবিদদের বের করে দিতে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ জানান অলি আহমদ।

পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে যড়যন্ত্র হচ্ছে উল্লেখ করে অলি আহমদ বলেন, ‘চট্টগ্রাম নিয়ে অনেকে ষড়যন্ত্র করছে। সেনাপ্রধানকে আমি বলব, কারও কথা শুনবেন না। এটা বাংলাদেশের অংশ। যেখানে প্রয়োজন ক্যাম্প করেন। সন্তু লারমার কথায় চলবে না। যেখানে প্রয়োজন ক্যাম্প করবেন, এটাই হলো আপনার দায়িত্ব। প্রতিটা জায়গা, এটা আমাদের টেরিটরি, আমাদেরকে অবশ্যই ডিফেন্ড করতে হবে।’

বাংলাদেশকে অশান্ত করার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে টাকা আসছে বলেও দাবি করেন অলি আহমদ। সরকারের অদক্ষতার কারণে একটা গোষ্ঠী কিছুদিন পরপর রাস্তা আটকে আন্দোলন করে উল্লেখ করে অলি আহমদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ব্যবসায়ীরা, আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতারা, তারা টাকা লুণ্ঠন করেছেন। বিভিন্ন দেশে আছেন। তাঁরা প্রত্যেকে টাকা হাসিনার কাছে পাঠাচ্ছেন। এটা আমার কাছে তথ্য আছে। আমি এটা আন্দাজের ওপর বলছি না।’

Related Articles

Back to top button