অর্থের ‘গরমিলে’ খুলছে না শাহজালালের নতুন কার্গো ভিলেজ

- হাজার কোটি টাকার গরমিল!
- বকেয়া বিল পরিশোধ না হওয়ায় টার্মিনাল হস্তান্তরে অনাগ্রহ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের
- আগুনের পর বিকল্প হিসেবে প্রস্তুত ভবনও ব্যবহারে অনিশ্চিত
অনলােইন ডেস্ক: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের আধুনিক কার্গো ভিলেজ ব্যবহারে জটিলতা দেখা দিয়েছে। প্রকল্পটির নির্মাণকাজ বাবদ প্রায় এক হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বলে দাবি করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এই টাকার অঙ্কে আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। ফলে দুই পক্ষের এই আর্থিক ‘গরমিলের’ কারণে নবনির্মিত কার্গো ভিলেজটি এখনো চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।
সম্প্রতি শাহজালাল বিমানবন্দরের পুরোনো কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর বেবিচক নতুন কার্গো ভিলেজ ব্যবহারের জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেয়। কিন্তু জবাবে ঠিকাদার পক্ষ জানায়, বেবিচকের কাছে তাদের প্রায় এক হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। বকেয়া বিল পরিশোধ না হলে তারা নতুন কার্গো ভবনটি বেবিচকের কাছে হস্তান্তর করতে পারবে না।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে বেবিচক সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক। শাহজালাল বিমানবন্দরের আগুনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, “নতুন যে অত্যাধুনিক ইমপোর্ট কার্গো ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে, সেটি এখনো চালু হয়নি মূলত আর্থিক জটিলতার কারণে। এই ভবন চালু হলে আগুন লাগার মতো ঘটনা ঘটলে আমরা বাসা থেকেও মনিটর করতে পারতাম। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আর্থিক গ্যাপ রয়ে গেছে প্রায় হাজার কোটি টাকার বেশি। আমরা দুই পক্ষের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে দ্রুত এই জটিলতা নিরসনের চেষ্টা করছি।”
বেবিচক সূত্রে জানা যায়, তৃতীয় টার্মিনালের কার্গো ভিলেজটি আধুনিক সরঞ্জাম, ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম এবং আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এটি চালু হলে বিমানবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আরও সহজ ও সুরক্ষিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে আর্থিক জটিলতা নিরসন না হওয়া পর্যন্ত নতুন কার্গো ভিলেজ ব্যবহারের সম্ভাবনা অনিশ্চিত রয়ে গেছে।