ফরিদপুরে এ কে আজাদের গাড়ি বহরে হামলা

অনলাইন ডেস্ক: ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

গতকাল রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকাল ৫টার দিকে ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের পরমানন্দপুর বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, মফস্বলের ওই বাজারটিতে রোববারে হাঁট বসে। হাটে বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারো মানুষ আসেন। সেখানে জনসংযোগের উদ্দেশ্যে বিকেলে ১৫-১৬টি গাড়ির বহর নিয়ে আসেন এ কে আজাদ। এর কিছু সময় পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফের পক্ষে গণসংযোগ করতে মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে ওই বাজারে হাজির হন বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এতে নেতৃত্ব দেন কোতোয়ালী যুবদলের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মো. নান্নু মোল্লা। দুই পক্ষ একই এলাকায় স্ব স্ব পক্ষে নানা শ্লোগান দেওয়ার এক পর্যায়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।)

বিকেল পাঁচটার কিছু সময় আগে এ কে আজাদ তার অনুসারীদের নিয়ে স্কুল মাঠের দিকে চলে যান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উভয় পক্ষকে নীরব রাখতে চেষ্টা করেন এবং এ কে আজাদের গাড়ি বহরকে সেখান থেকে নিরাপদে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালান। অধিকাংশ গাড়ি পার হয়ে গেলেও বহরের শেষ দিকে থাকা দুটি গাড়িতে হাটে বিক্রির জন্য আনা আখ দিয়ে হামলা চালায় কয়েকজন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মী।

এ বিষয়ে এ কে আজাদ তৎক্ষণাৎ প্রতিক্রিয়ায় জানান, ফরিদপুরের রাজনীতিতে এ সহিংসতার ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। গত নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে নির্বাচন করেছি, তাও এমন ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই।

এদিকে যুবদলের র‍্যালীর নেতৃত্বদানকারী কোতোয়ালী যুবদলের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মো. নান্নু মোল্লা জানান, এ কে আজাদ আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাকর্মীদের প্রকাশ্যে এনে জনসংযোগ করছিলো। যারা জুলাই আন্দোলনে সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালিয়েছিল। যেটা তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মেনে নিতে পারেনি।

এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান জানান, দুই পক্ষকে শান্ত রাখতে পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছে। তিনি জানান, এখনো পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেনি।

অপরদিকে, এ কে আজাদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদী ও নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসনের অভিযোগে এনে ও এর প্রতিবাদ জানিয়ে রাতে শহরে মশাল মিছিল করেছে জেলা ছাত্রদল। রাত ৮টার দিকে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের শহর ক্যাম্পাস থেকে মশাল মিছিলটি বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাব হয়ে জনতা ব্যাংকের মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

মশাল মিছিলে ফরিদপুর জেলা ছাত্রদল সভাপতি আদনান হোসেন অনু, সহ-সভাপতি কায়েস মাহমুদ, ফরিদপুর মহানগর ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুনিব হাসান সোহাগসহ ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়।

Related Articles

Back to top button