আমিরাবাদে পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি

অনলাইন ডেস্ক: উপজেলার আমিরাবাদ কদমতলী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাঘাট তলিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে এ এলাকায় পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। জলাবদ্ধতার কারণে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।
স্থানীয়রা জানান, এ এলাকায় গড়ে ওঠা ছোট-বড় বিভিন্ন কলকারখানা ও অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ করা হয়; কিন্তু পানি নিষ্কাশনের কোনো সুব্যবস্থা রাখা হয়নি। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি দীর্ঘসময় জমে থাকে। ফলে চলাফেরা তো দূরের কথা, ঘর থেকেও বের হতে পারেন না অনেকে। তাদের মাসের পর মাস পানিবন্দি অবস্থায় জীবনযাপন করতে হচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, একাধিক বার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অবহিত করা হলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি তারা। দীর্ঘ দিন পানি জমে থাকায় এলাকাবাসী বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বর্তমানে ডেঙ্গু মহামারি আকার ধারণ করেছে। আর এই জমে থাকা পানিতে প্রচুর মশার উৎপাদন হচ্ছে। এলাকাবাসী জলাবদ্ধতার পাশাপাশি মশার উপদ্রবেরও শিকার হচ্ছেন। স্থানীয় সালাউদ্দিন জানান, বাড়ি থেকে বের হতে হলে পানি মাড়িয়ে আসতে হয়। বাড়ি থেকে রাস্তা নিচু হওয়ার কারণে বাড়ি থেকে রাস্তায় পানি বেশি। আর পানি দীর্ঘদিন আটকে থাকার কারণে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ, সেই সঙ্গে পানি থেকে চর্ম রোগেরও উৎপত্তি হচ্ছে। তাই দ্রুত ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিশ্চিতসহ জলাবদ্ধতা নিরসনে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি নিজে এলাকায় গিয়েছি। এলাকাবাসীর দুর্ভোগ নিজে দেখে এসেছি। আমি উপজেলা প্রশাসন থেকে এলাকার শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে বলব, তারা যেন তাদের প্রতিষ্ঠানে পয়নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে। আর ডিসি স্যারের সঙ্গে আলাপ করে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থার পদক্ষেপ নেব।