ফেসবুক লাইভে স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা, স্ত্রী বললেন ‘নাটক’

অনলাইন ডেস্ক: ভারতের কর্নাটকে ফেসবুক লাইফে এসে আত্মহত্যা চেষ্টা করেন সালমান পাশা নামে এক ব্যক্তি। এ ঘটনাকে ‘নাটক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন তার স্ত্রী। এতে তার পারিবারিক বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, কর্নাটকের জয়ানগর থানা এলাকার সালমান পাশা অভিযোগ করেন, তার স্ত্রী ও স্ত্রীর আত্মীয়রা তাকে মানসিকভাবে হয়রানি করছেন। ফেসবুকে এসে তিনি আত্মহত্যা চেষ্টার পর তার স্ত্রী সৈয়দ নিকহাত ফিরদৌস বিষয়টিকে বলছেন ‘নাটক’।
জানা যায়, সালমান পাশা কুয়েতে হাইড্রোলিক মেকানিক হিসেবে কাজ করতেন। দেশে ফিরে চার বছর আগে সৈয়দ নিকহাত ফিরদৌস নামের এক নারীকে বিয়ে করেন। প্রথম দুই বছর তাদের দাম্পত্য জীবন সুখে কাটলেও দ্বিতীয় সন্তানসম্ভাবা অবস্থায় সালমান বিদেশে যাওয়ার পর থেকে সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
এদিকে সালমানের বিদেশ যাত্রার পর নিকহাত তার পিত্রালয়ে চলে যান। সেখান থেকেই দাম্পত্য কলহের সূত্রপাত।
নিজের ফেসবুক লাইভ ভিডিওতে সালমান অভিযোগ করেন, তার স্ত্রী, স্ত্রীর পরিবার এবং এক আত্মীয় সৈয়দ বুরহান উদ্দিন তাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করেছেন এবং টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করেছেন।
এর মধ্যে বুরহানউদ্দিন তুমাকুরু জেলায় অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের জেলা সভাপতি।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, তার স্ত্রী বুরহান উদ্দিনের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িত এবং বিদেশ থেকে ফিরে আসার পরও স্ত্রী তাকে তাদের দুই সন্তানের সঙ্গে দেখা করতে দেননি।
ফেসবুক লাইভে আবেগপ্রবণ সালমান আরও বলেন, থানার কর্মকর্তারা স্ত্রীর পরিবারের পক্ষ নিয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় তাকে জেলে পাঠানো হয়েছিল।
এরপরই তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। দ্রুত তাকে তুমাকুরু জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন। সালমানের পরিবার ইতোমধ্যে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অভিযোগ করেছে এবং ন্যায়বিচার চেয়েছে।
ওদিকে ঘটনার পর সালমানের স্ত্রী সৈয়দ নিকহাত ফিরদৌস তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন, আগেও সে এমন নাটক করেছে। তখন সাবান পানি খাওয়ার ভান করেছিল। সে আমার কর্মস্থলে এসে আমাকে এসিড ঢেলে মারার হুমকি দিয়েছিল। আমি আগেই এই হুমকির বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেছি। এখন সে কেবল সহানুভূতি আদায় করার জন্য নাটক করছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটির তদন্ত চলছে এবং উভয় পক্ষের বক্তব্য যাচাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।