নওগাঁয় কুয়াশার চাদরে মোড়া শরতের অন্যরকম সকাল

অনলাইন ডেস্ক: কুয়াশায় ঢাকা পথঘাট, শিশিরে ভেজা ধানক্ষেত, ঝাপসা হয়ে আসছে দূর দৃষ্টিও- এ দৃশ্যটি শীতের সকালের বর্ণনা মনে হলেও শরতের সকালেই নওগাঁয় দেখা মিলছে এমন কুয়াশার চাদর। দীর্ঘ গরমের পর সকালের এই কুয়াশায় স্থানীয়দের কাছে নিয়ে এসে শীতের আগমনী বার্তা।
তারা বলছেন, গত কয়েকদিন ধরে সকালে এমনটাই দেখা যাচ্ছে। মূলত ভোর থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ। ভোর থেকে মাঠঘাট, গাছপালা ও রাস্তাঘাটে নেমে আসছে কুয়াশা।
মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা গেছে, ভোর থেকে নওগাঁ শহরসহ আশপাশের এলাকায় ঢেকে গেছে কুয়াশার চাদরে। শহরের রাস্তায় হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরে ধীরে চলছিল যানবাহন। একইভাবে বাসস্ট্যান্ড, বাইপাস সড়কসহ বাজার এলাকায় সকাল ৮টা পর্যন্ত ছিল কুয়াশার ধোঁয়াটে আবরণ। মাঠের ফসল, গাছের পাতা ও ঘাসের ডগায় জমেছে শিশির বিন্দু। শহরের বাইরে গ্রামীণ সড়কগুলোতে কুয়াশার ঘনত্ব ছিল আরও বেশি। রাণীনগর পত্নীতলা, ধামইরহাট ও মহাদেবপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে সকাল ৯টার পরও সূর্যের দেখা মেলেনি। গত কয়েক দিন আগ থেকেই সকালে কুয়াশা দেখা দিলেও মঙ্গলবার দিনই তীব্র কুয়াশার দেখা মিলেছে।
রাণীনগর উপজেলার বেলঘড়ীয়া বাজারের কীটনাশক ব্যবসায়ী মো. দুলাল বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই গরমে খুব কষ্ট হচ্ছিল। ভোরে উঠেই দেখি পুরো মাঠ কুয়াশায় ঢাকা। মনে হচ্ছে, এবার বুঝি সত্যি শীত এসেছে।’

অটোরিকশা (টমটম) চালক আব্দুস ছাত্তার বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে কুয়াশায় রাস্তায় ভালো করে দেখা যাচ্ছিল না। তবে ঠান্ডা হাওয়া লাগায় মনটা ভালো হয়ে গেছে। সকাল সকাল অটোরিকশা নিয়ে বের হয়েছিলাম, কিন্তু রাস্তায় লোকজন কম। কুয়াশায় সামনেটাও ঠিকমতো দেখা যাচ্ছিল না। তারপরও মনে ভালো লাগছিল, অনেক দিন পর ঠান্ডা হাওয়া পেলাম।’
কৃষক আবদুল হান্নান বলেন, ‘ভোরে ভোরে ঠান্ডা বাতাসে কুয়াশা দেখে মনটা ভালো যায়। মনে হচ্ছে, এবার সত্যিই শীত আসছে।’
বদলগাছী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, মৌসুমি বায়ুর প্রভাব কমে আসায় ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমছে।
বদলগাছী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুল হক বলেন, গত কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমছে। মঙ্গলবার সকালেও ২৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। কুয়াশা পড়া মানে শীতের আগমনী বার্তা জানান দিচ্ছে। এটা স্বাভাবিক মৌসুম পরিবর্তন।




