পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার পর আইএইএ’কে সহযোগিতা ‘অপ্রাসঙ্গিক’: ইরান

অনলাইন ডেস্ক: পশ্চিমা দেশগুলো ইরানের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করার পর তেহরান জানিয়েছে, জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইএইএ’র সঙ্গে তাদের সহযোগিতা আর প্রাসঙ্গিক নয়।

গতকাল রোববার (৫ অক্টোবর) ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেন, ‘আইএইএ’র সঙ্গে আমাদের সহযোগিতার জন্য কায়রো চুক্তি আর প্রাসঙ্গিক নয়।’ গত মাসে স্বাক্ষরিত ওই চুক্তির মাধ্যমে ইরান ও আইএইএ নতুন করে পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণের কাঠামোতে সম্মত হয়েছিল।

তবে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তির স্বাক্ষরকারী তিন দেশ ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি। তারা ইরানের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে। এতে চুক্তিটি কার্যত অর্থহীন হয়ে পড়ে। যা তেহরান প্রত্যাখ্যান করেছে।

আরাঘচি বলেন, ‘তিন ইউরোপীয় দেশ ভেবেছিল তারা ‘স্ন্যাপব্যাক’ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে পারবে। তারা তা করেছে, আর এখন ফল দেখছে। তাদের সঙ্গে ভবিষ্যৎ আলোচনার কোনো ন্যায্যতাই অবশিষ্ট নেই।’

তিনি আরও জানান, পারমাণবিক ইস্যুতে ভবিষ্যতে ইউরোপীয়দের ভূমিকা ‘আগের তুলনায় অনেক ছোট’ হবে।

ইরান অভিযোগ করেছে, আইএইএ ইসরায়েলি হামলার নিন্দা না করে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে। মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলো ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগে অভিযুক্ত করলেও তেহরান তা দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে। ইরান বারবার দাবি করছে, তাদের কর্মসূচি সম্পূর্ণ বেসামরিক এবং এনপিটি চুক্তির অধীনে বৈধ।

কিছু ইরানি আইনপ্রণেতা এনপিটি থেকে সম্পূর্ণভাবে বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিলেও প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, ‘ইরান চুক্তির বাধ্যবাধকতা বজায় রাখবে।’

আরাঘচি বলেন, ‘আইএইএ’র সঙ্গে সহযোগিতা নিয়ে তেহরানের সিদ্ধান্ত শিগগিরই ঘোষণা করা হবে,’ যদিও তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘এখনও কূটনীতির সুযোগ রয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত জুন মাসে ইসরায়েলি হামলায় ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তেহরানের পারমাণবিক আলোচনা স্থগিত হয়ে যায়। এরপর থেকে ইরান অভিযোগ করে আসছে, ওয়াশিংটন ইচ্ছাকৃতভাবে কূটনৈতিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করছে।

Related Articles

Back to top button