নিহত কাতারি নিরাপত্তাকর্মীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেবে ইসরায়েল

অনলাইন ডেস্ক: কাতারের রাজধানী দোহায় চালানো হামলায় এক কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। একইসঙ্গে নিহত কর্মকর্তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও ইচ্ছা প্রকাশ করেছে দেশটি।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ইসরাইয়েলি এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম কান পাবলিক ব্রডকাস্টারের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৯ সেপ্টেম্বর হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে কাতারে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ওই হামলায় নিহত হন এক কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা। এতে মুষরে পড়ে তার পরিবার।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কাতারের কাছে ক্ষমা চাওয়ার পর এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও ইসরায়েল কখন এই ইচ্ছা প্রকাশ করেছে তা স্পষ্ট নয়।
সোমবার হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন নেতানিয়াহু। সেখান থেকে কাতারের প্রধানমন্ত্রীকে যৌথভাবে ফোন করেন তারা। ওই ফোনকলে ক্ষমা চান নেতানিয়াহু।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষতিপূরণ প্রদানের এই ঘটনা নজিরবিহীন নয়। ২০১৬ সালেও ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল ইসরায়েল। তখন ছয় বছরের বিরোধের পর সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের জন্য স্বাক্ষরিত চুক্তির মূল উপাদান হিসেবে ২০১০ সালে একটি ত্রাণ জাহাজে প্রাণঘাতী হামলার জন্য তুরস্ককে ২০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ প্রদান করে তেল আবিব।
এদিকে ইসরায়েলের ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা নেতানিয়াহুর ক্ষমা চাওয়ায় বিস্মিত হন। দাবি করা হচ্ছে, তাদের আগে থেকে অবহিত করা হয়নি। প্রতিবেদনের উপর মন্তব্যের অনুরোধের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে ৯ সেপ্টেম্বর ভয়াবহ বিমান হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় হামাসের নিম্নপর্যায়ের পাঁচজন সদস্য ও একজন কাতারি নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছিলেন। তবে ঘটনাস্থলে থাকা হামাসের পাঁচ নেতৃস্থানীয় সদস্য হামলায় অক্ষত ছিলেন। এ ঘটনায় আরব দেশগুলো ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায়। এর জেরে মুসলিম দেশগুলো কয়েকটি শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক করে। সেসব বৈঠকে ন্যাটোর আদলে বাহিনী গঠনের প্রস্তাব আসে। তবে ট্রাম্প গাজা সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে ওই প্রক্রিয়া স্তিমিত হয়ে যায়।
তথ্য সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল




