১০ মিনিটের সড়ক পার হতে লাগে দুই ঘণ্টা

অনলাইন ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জের বন্দরে মদনগঞ্জ-মদনপুর সড়কে খানাখন্দে ভরা। সড়কে গাড়ি রেখে লোড আনলোডের কারণে প্রতিদিন দীর্ঘ যানজট লেগেই থাকে। এতে করে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সবচেয়ে বড় বিপদে পড়তে হচ্ছে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সকে। এ সড়কটির সঙ্গে পদ্মা সেতুর সড়কের সংযোগ থাকায় সড়কটি দিয়ে হাজার হাজার গাড়ি চলাচল করে। সড়কটির বন্দর বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে ধামগড় ইস্পাহানী বাজ পর্যন্ত দীর্ঘ ৯ কিলোমিটার খানাখন্দে ভরা। সবচেয়ে বেশি বিশাল বিশাল গর্ত ইস্পাহানী বাজ এলাকায়। এখানে ভারী গাড়ি গর্তে ফেঁসে গিয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজটের ফলে ১০ মিনিটের রাস্তা দুই ঘণ্টায়ও পার হতে পারছে না পরিবহনগুলো। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে অফিসগামী যাত্রীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, যানজট দীর্ঘ হওয়ার আরো একটি কারণ হলো সড়কের ওপরে ট্রাক রেখে লোড-আনলোড করা হয়। যার কারণে খানাখন্দ পেরিয়ে এসে লোড-আনলোডের কারণে গাড়িগুলো সড়কে একপাশ বন্ধ থাকায় আটকে যায়।
এ সড়কে ২৪ ঘণ্টাই যানজট লেগে থাকে। যানজটের কারণে সিএনজি অটোরিকশাগুলো যাত্রীদের পকেট কাটছে। এভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে বন্দরের মানুষ। ধামগড় এলাকার দিপু জানান, এ সড়কে প্রতিদিন আকিজ, শাহ সিমেন্ট, বসুন্ধরাসহ বেশ কয়েটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শত শত বসুন্ধরাসহ অতিরিক্ত মালবোঝাই গাড়ি চলে। যা সড়কের ধারণ ক্ষমতার অধিক। ভারী গাড়ি চলাচলের ফলে সড়কটি ভেঙে বিশাল বিশাল গর্তে পরিণত হয়েছে।
বর্তমানে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি জমে সড়ক আরো বেশি ক্ষতি হওয়ায় সড়কটি চলাচলের সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। আর এ সড়কটি বন্দর উপজেলার প্রধান সড়ক। কিছু দিন আগে সড়ক ও জনপথ এ সড়কের বিভিন্ন স্থানের গর্তে ইট বিছিয়ে গর্ত বন্ধ করলেও তা দুই/তিন দিনের মধ্যে ভেঙে পুনরায় গর্তে পরিণত হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা সড়কটি সংস্কারের জন্য সড়ক ও জনপথের সঙ্গে কথা বলেছি তারা দ্রুত গর্তগুলো ভরাট করে দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে।