সঞ্চয়পত্র নাকি এফডিআর, কোথায় বিনিয়োগ করা উচিত

অনলাইন ডেস্ক: হাতে কিছু টাকা জমে গেলে অনেকের মনে প্রথমেই আসে—‘এ টাকা কোথায় রাখব? কীভাবে বিনিয়োগ করব?’ কেউ কেউ মনে করেন, নিরাপদ উপায় হলো সঞ্চয়পত্র কেনা। আবার অনেকের ধারণা, ব্যাংকে এফডিআর করলে টাকা সহজে ভাঙানো যায়, প্রয়োজনে ঋণও নেওয়া যায়। তাই কোন পথে গেলে লাভ বেশি, ঝুঁকি কম—তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থেকেই যায়।

সঞ্চয়পত্র আর এফডিআর—দুই ব্যবস্থারই রয়েছে সুবিধা ও সীমাবদ্ধতা। সঞ্চয়পত্রে সরকারি গ্যারান্টি থাকায় ঝুঁকি নেই, আবার সুদের হারও তুলনামূলক বেশি।

অন্যদিকে এফডিআরে সহজে টাকা তোলার সুযোগ আছে, মাসিক বা ত্রৈমাসিক আয়ের সুবিধাও পাওয়া যায়। তবে সুদের হার সঞ্চয়পত্রের চেয়ে কম। বিশ্লেষকেরা তাই পরামর্শ দেন—পুরো টাকা এক জায়গায় না রেখে ভাগ করে বিনিয়োগ করলে ঝুঁকি কমবে, পাশাপাশি নিশ্চিত আয়ও মিলবে।

সঞ্চয়পত্র
মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছে সঞ্চয়পত্র সবচেয়ে জনপ্রিয়। কেননা, ঝামেলা ছাড়াই বিনিয়োগ করা যায় এবং এখনো এটি আস্থার জায়গা ধরে রেখেছে।

সুবিধা

সরকারি গ্যারান্টি থাকায় টাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত।
এফডিআরের তুলনায় সুদের হার বেশি (গড়ে প্রায় ১২%)।
দীর্ঘমেয়াদে নিশ্চিত রিটার্ন।
কর রেয়াত সুবিধা থাকে, ফলে আয়করের চাপ কমে।
প্রয়োজনে ভেঙে নেওয়ার সুযোগ আছে।
অসুবিধা

নির্দিষ্ট সীমার বেশি কেনা যায় না (পরিবার সঞ্চয়পত্র সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ, পেনশনার ৫০ লাখ)।
মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে ভাঙালে মুনাফা কমে যায়।
মুনাফা থেকে উৎসে কর কাটা হয়।
তাৎক্ষণিক নগদায়নের সুযোগ সীমিত।
এফডিআর
এফডিআর হলো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য টাকা রেখে সুদ পাওয়া।

সুবিধা

মেয়াদ বেছে নেওয়ার সুযোগ আছে (৩ মাস থেকে ৫ বছর পর্যন্ত)।
এফডিআরের বিপরীতে ঋণ নেওয়া যায়—সাধারণত ৯০% পর্যন্ত।
মাসিক বা ত্রৈমাসিক সুদ পাওয়ার ব্যবস্থা আছে।
প্রয়োজন হলে তুলনামূলকভাবে সহজে ভাঙানো যায়।
অসুবিধা

সাধারণত সুদের হার কম (৬–৯%)।
ব্যাংকের আর্থিক অবস্থার ওপর নির্ভরশীল।
সময়ের আগে ভাঙালে সুদ কমে যায়

Related Articles

Back to top button