খালিয়াজুরিতে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় শিশুর মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ ৩

অনলাইন ডেস্ক: নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার ধনু নদে বাল্কহেড ও জেলে নৌকার সঙ্গে বিয়েবাড়ির স্পিডবোটের সংঘর্ষের ঘটনায় নিখোঁজ চারজনের মধ্যে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে বাকি তিনজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

গতকাল শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে ২টার দিকে উপজেলার পাঁচহাট হাওরের উন্মুক্ত জলাশয়ে একটি ভাসমান মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে উদ্ধার করে শনাক্ত করা হয় শিশুটিকে। তার নাম ঊষামণি (৫), তিনি খালিয়াজুরী উপজেলার আন্ধাইর গ্রামের মোফায়েল মিয়ার মেয়ে।

এর আগে শুক্রবার দুপুরে ধনু নদে বিয়েবাড়ির স্পিডবোটটি একটি বাল্কহেড ও একটি জেলে নৌকার সঙ্গে সংঘর্ষে উল্টে যায়। এতে মোছা লাইলা আক্তার (৭), সামিয়া (১১) এবং মোছা শিরিন আক্তার (১৭) নিখোঁজ হন। তাদের সবার বাড়ি খালিয়াজুরীর আন্ধাইর গ্রামে।

দুর্ঘটনার বিষয়ে খালিয়াজুরী উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুর রউফ স্বাধীন জানান, শুক্রবার বিকেল ১টা ৩০ মিনিটের দিকে উপজেলার পাঁচহাট চরপাড়া এলাকায় ধনু নদে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খালিয়াজুরীর ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও মোহনগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম এ কাদের বলেন, ‘শনিবার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে। সন্ধ্যায় অভিযান স্থগিত করা হয়। এখন পর্যন্ত এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা গেলেও বাকি তিনজনের খোঁজ মেলেনি।’

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আন্ধাইর গ্রামের নবাব মিয়ার ছেলে রানা মিয়ার বিয়ের উপলক্ষে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলা থেকে একটি স্পিডবোট ভাড়া করা হয়। বরযাত্রীরা মৃগা গ্রামে কনের বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যাত্রার আগমুহূর্তে প্রায় ১৫ জন নারী ও শিশু স্পিডবোটে করে হাওরে ঘুরতে বের হন।

এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাল্কহেড ও একটি জেলে নৌকার সঙ্গে সংঘর্ষ হলে স্পিডবোটটি উল্টে যায়। জেলেরা নৌকায় ওঠার চেষ্টা করায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। এতে চার শিশু নিখোঁজ ও তিনজন আহত হন। অন্যরা সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন।

দুর্ঘটনার পরপরই বিয়েবাড়িতে নেমে আসে শোকের ছায়া। বিয়ের অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়।

Related Articles

Back to top button