এআইতে বিপুল বিনিয়োগ, মুনাফা নেই!

অনলাইন ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে খরচ কমানো ও লাভ বাড়াতে এআই প্রযুক্তি দ্রম্নত取り করছে বিভিন্ন কোম্পানি। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রকৃত আর্থিক লাভ আসছে না—এমন তথ্য উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান এমআইটির এক গবেষণায়।
‘দ্য জেনএআই ডিভাইডেড: স্টেট অব এআই ইন বিজনেস ২০২৫’ শিরোনামে প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে কোম্পানিগুলো জেনারেটিভ এআইতে ৩ থেকে ৪ হাজার কোটি ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগ করছে। অথচ ৯৫ শতাংশ প্রকল্পই আর্থিকভাবে ব্যর্থ। খবর এনডিটিভির।
গবেষণায় দেখা গেছে, ৩০০টি এআই ব্যবহারের ঘটনা ও প্রায় ৩৫০ জন কর্মীর অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ করে জানা যায়—চ্যাটজিপিটি, কোপাইলট ইত্যাদি টুল জনপ্রিয় হলেও, কেবল ৫ শতাংশ কোম্পানি এসব টুল ব্যবহার করে লাভবান হয়েছে। বাকিরা এখনো প্রত্যাশিত মুনাফা পাচ্ছে না।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রায় ৮০ শতাংশ কোম্পানি পরীক্ষামূলকভাবে এআই চালু করলেও, তা মূলত ব্যক্তিগত উৎপাদনশীলতা বাড়াচ্ছে, প্রতিষ্ঠানিক লাভে বড় ভূমিকা রাখতে পারছে না। এমনকি অনেক বড় কোম্পানি চুপিসারে তাদের এআই প্রকল্প গুটিয়ে নিচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, সমস্যা মূলত প্রযুক্তিতে নয়, বরং প্রতিষ্ঠানগুলোর বিদ্যমান কাঠামোর সঙ্গে এআইকে খাপ খাওয়াতে না পারায় ব্যর্থতা আসছে। কর্মীদের দক্ষতার ঘাটতিও একটি বড় কারণ। তবে শীর্ষ কর্মকর্তারা দায় দিচ্ছেন প্রযুক্তিকেই।
একই সমস্যা অনুভব করেছে ফাস্টফুড চেইন টাকো বেলও। তাদের প্রযুক্তি প্রধান ডেন ম্যাথিউজ জানান, ড্রাইভ-থ্রুতে এআই ব্যবহারে উল্টো সমস্যা দেখা দেয়ায় তারা ব্যবহার সীমিত করেছে।
এদিকে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল জানায়, অধিকাংশ এআই মডেল চিন্তা করতে পারে না, বরং পূর্বের প্যাটার্ন অনুসরণ করে চলে। ফলে প্রশ্নের ধরন বদলালে বা জটিলতা বাড়লে, কার্যক্ষমতা কমে যায়।