রিট করায় বাম জোটের ফাহমিদাকে এস এম ফরহাদের শুভেচ্ছা

অনলাইন ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে শিবির সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ থেকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে এস এম ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা রিটের শুনানির জন্য আগামী মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
গতকাল রোববার (৩১ আগস্ট) বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির এ দিন নির্ধারণ করেন।
এস এম ফরহাদ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি।
তার প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ডাকসু নির্বাচনে বাম জোট মনোনীত ‘অপরাজেয় ৭১-অদম্য ২৪’ প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলম।
এদিকে প্রার্থীতাকে চ্যালেঞ্জ করে রিট করার জন্য বামজোটের এই নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানান এস এম ফরহাদ। ফেসবুকের এক পোস্টে তিনি লিখেন, ‘আমার প্রার্থীতাকে চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়েরকারী বামজোটের নেত্রীকে তার উদ্যোগের জন্য শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’
তিনি আরও লিখেন, ‘বিভিন্ন দল কর্তৃক দীর্ঘ সময় ধরে ছবি এডিট করে, ভিডিও বানিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করার চেয়ে আপনার আইনি উদ্যোগ তুলনামূলক ভালো অ্যাপ্রোচ। বাধা, ষড়যন্ত্র কিংবা অপকৌশল মাড়িয়েই আমাদের নিয়মিত পথচলা; এই যাত্রায় আমরা থামব না, ইনশাআল্লাহ।’
এদিকে রোববার (৩১ আগস্ট) সকাল সোয়া ১১টার দিকে আদালতে রিটটি শুনানি করতে দাঁড়ান আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। তখন আদালত মঙ্গলবার শুনবেন বলে জানান। আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বিষয়টি জরুরি উল্লেখ করে বিকেলেই শুনানির আরজি জানালে আদালত মঙ্গলবার দুপুর ২টায় শুনানির সিদ্ধান্ত দেন।
এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির, যিনি একসময় শিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল ছিলেন।
গত ২৬ আগস্ট ডাকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। রিটে নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ফরহাদের যুক্ত থাকার অভিযোগ করা হয়েছে। যে কারণে ডাকসুর নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে এস এম ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা দেওয়া কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে রিটে। সেই সঙ্গে আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা বাতিল করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতেও রুল চাওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক শুনানির পর আদালত রুল জারি করলে তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ফরহাদের প্রার্থিতার কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছে রিটে।




