বউ রেখে আরেক নারীর দিকে চোখ যায় কেমনে?- কনস্টবলকে আদালত

অনলাইন ডেস্ক: আজ থেকে এক বছর আগে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার কনস্টেবল সাফিউর রহমান (৩০)। এরই মাঝে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে ব্যারাকে নারী সহকর্মীকে ধর্ষণের। ধর্ষণের অভিযোগে মামলার পর শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে ঢাকার মিল ব্যারাক পুলিশ লাইন্স থেকে তাকে গ্রেফতার করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।
গতকাল শনিবার (২৩ আগস্ট) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওই থানার এসআই জুলফিকার আলী তার পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামির কাঠগড়ায় এক কোণায় দাঁড়িয়ে ছিলেন সাফিউর।
ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সালেহর আদালতে রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হয়। সাফিউরের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। আদালত তার কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চান। তাকে সামনে আসতে বলেন। পরে সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে সাফিউর আদালতকে বলেন, ‘তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তিনি তাকে বিয়ে করবেন।’ বিয়ে করেছেন কি না আদালত জানতে চাইলে বলেন, ‘গ্রামের বাড়িতে স্ত্রী আছে। এক বছর আগে বিয়ে করেছেন।’
বউ রেখে আরেকজনের সঙ্গে প্রেম করেন কেন? বিচারকের এই প্রশ্নের জবাবে সাফিউর বলেন, ‘ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক তাকে বিয়ে করবেন।’
এ সময় আদালত তাকে বলেন, সে (ভিকটিম) তো মামলা দিয়েছে। ওই মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে মামলার সমাধান করতে পরামর্শ দেন আদালত। তাকে বলেন, ‘বউ রেখে আরেক নারীর দিকে চোখ যায় কেমনে?’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তার উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির দিন রোববার ধার্য করে আদালত সাফিউরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানান দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের জাহিদুল ইসলাম।
ধর্ষণের অভিযোগ এনে শুক্রবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন ওই নারী কনস্টেবল। মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, সাফিউর রহমান গত ১৫ আগস্ট রাত আড়াইটা থেকে চারটা পর্যন্ত বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা ভবনের দ্বিতীয় তলার দক্ষিণ পাশের নারী ব্যারাকে ভিকটিমের শয়ন কক্ষে প্রবেশ করে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করে। ইতোপূর্বে বিগত ৫ মাসে সপ্তাহে দুবার করে ধর্ষণ করে এবং তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও চিত্র তার ব্যবহৃত আইফোনে ধারণ করে ব্লাকমেইল করে।